বিহারের খগরিয়ায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জেডিইউ নেতা (JDU Leader) রাজকিশোর নিশাদের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। পরিবার সরাসরি অভিযোগ তুলেছে—এটি একটি ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত খুন, যার পেছনে রয়েছে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদ।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাজকিশোর নিশাদ (JDU Leader) একটি অটো রিকশা থেকে আচমকাই পড়ে যাচ্ছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শরীর থেকে রক্তপাত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে এই পড়ে যাওয়ার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, এখনও তদন্ত চলছে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে (JDU Leader) ।
তবে পুলিশের এই বক্তব্য মানতে রাজি নন নিহত নেতার (JDU Leader) পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা সরাসরি দাবি করেছেন, রাজকিশোর নিশাদকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের ক্ষোভ এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে, গোটা পরিবার গোগরি থানার সামনে বিক্ষোভে বসেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন স্থানীয় বাসিন্দারা গোগরি রেজিস্ট্রি চক অবরোধ করেন, যার ফলে অগওয়ানি–মহেশখুন্ত রোডে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার মূল কেন্দ্রে রয়েছে বিশারী মন্দির সংলগ্ন একটি জমি। সেখানকার কিছু গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা মন্দিরের জমিতে অবৈধ দখলদারি করছিলেন। রাজকিশোর নিশাদ ওই দখলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এবং এই কারণে একাধিকবার হুমকি পেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছে তাঁর পরিবার। তাঁদের মতে, এই বিরোধের জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এটি খুন বলে মানতে নারাজ, তবে তদন্তে আরও গভীরে যেতে ইতিমধ্যেই ফরেনসিক টিম পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এসডিপিও রমেশ কুমার এবং তদন্তে কোনও গাফিলতি রাখা হবে না।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মৃত নেতার পরিবার যেভাবে সরাসরি খুনের অভিযোগ এনেছে, তাতে তদন্ত কতদূর স্বচ্ছ হবে—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
এখন দেখার, জমি বিবাদের ছায়ায় এই মৃত্যু কি সত্যিই দুর্ঘটনা, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে একটি ঠান্ডা মাথার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র?