Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • নারী
  • শারীরিক নির্যাতন, চুল কেটে বিকৃতি, শ্বশুরের হাতে হেনস্থা—পণলোভীদের বিরুদ্ধে কাঁদছে কেরলের এক মায়ের মৃত্যু!
নারী

শারীরিক নির্যাতন, চুল কেটে বিকৃতি, শ্বশুরের হাতে হেনস্থা—পণলোভীদের বিরুদ্ধে কাঁদছে কেরলের এক মায়ের মৃত্যু!

karnataka suicide
Email :4

কেরলের (Kerala) এক তরুণীর আত্মহত্যা ও তার এক বছরের শিশুকন্যাকে খুন করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতা মহিলা ও তাঁর শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজাহ শহরের আল নাহদা এলাকা থেকে। ভিপাঞ্জিকা মণি (৩২) নামে ওই নারী গত ৮ জুলাই আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ (Kerala) । এর আগে, নিজের দেড় বছরের কন্যা ভৈভবীকে হত্যা করেন বলেও দাবি করেছে পুলিশ।

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর কুন্দারা থানায় (কোল্লাম, কেরল) ভিপাঞ্জিকার মা একটি অভিযোগ দায়ের করেন (Kerala) । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে এবং FIR-এ ভিপাঞ্জিকার স্বামী নিধীশকে প্রথম অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে নাম রয়েছে নিধীশের বোন নীতু এবং তাঁদের বাবারও (Kerala) ।

ভিপাঞ্জিকার মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে পণসংক্রান্ত কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে বর্বর অত্যাচার করা হত। পণ যথেষ্ট হয়নি বলে কটাক্ষ করা হত (Kerala) । তিনি অভিযোগ করেন, “মেয়ের গায়ের রং ফর্সা ছিল। দেখতে সুন্দর ছিল। সেই হিংসা থেকেই মেয়েকে নেড়া করে দেয়।। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কালো রঙের হওয়ায় তাঁরা নাকি ঈর্ষান্বিত ছিলেন।”

এছাড়াও অভিযোগ, ভিপাঞ্জিকাকে নিয়মিত মারধর করা হত। স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই তাঁকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠানো হয়। তাঁর হাতে পাওয়া একটি সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে তাঁর ওপর চালানো নিদারুণ অত্যাচারের বিস্তারিত বিবরণ। চিঠিতে তিনি লেখেন, “আমার শ্বশুর আমাকে স্পর্শ করত। আমি যখন নিধীশকে বলি, সে উত্তর দেয়, ‘আমি তো শুধু তোমার জন্য বিয়ে করিনি, বাবার জন্যও করেছি।’ সে পর্ন ভিডিও দেখে আমাকে সেই সব করতে বাধ্য করত। আমাকে কুকুরের মতো মারত। আর পারছি না। ওদের ছেড়ে দিও না।”

এই ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে ভারতীয় আইন অনুযায়ী ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) ধারা ৮৫ ও ১০৮ অনুযায়ী, যার মধ্যে রয়েছে স্ত্রীর ওপর নিষ্ঠুরতা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। একইসঙ্গে পণবিরোধী আইন ১৯৬১-এর ৩ ও ৪ ধারাতেও মামলা করা হয়েছে। ভিপাঞ্জিকার মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা বুঝতেই পারেননি মেয়ের উপর এত অত্যাচার হচ্ছিল। তাঁর কথায়, “ওরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। তবেই আমার মেয়ে শান্তি পাবে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং আরও তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts