ভাঙড়ে (Bhangar) তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খাঁ-কে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমেই নতুন নতুন পরত খুলে দিচ্ছে তদন্ত। মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে একের পর এক অভিযুক্ত। মঙ্গলবার রাতেই হাসনাবাদের সদরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক অভিযুক্তকে (Bhangar)। তার নাম রফিকুল খান, বাড়ি বিজয়গঞ্জ বাজারের চকমরিচা গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রফিকুল খাঁ-হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় সরাসরি জড়িত ছিল (Bhangar)। শুধু তাই নয়, এই পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল রেজ্জাক খুনের ঘটনার অন্তত ১৫ দিন আগেই। সেই সময়ই রেজ্জাককে “সরিয়ে” দেওয়ার ছক কষেছিল অভিযুক্তদের দল (Bhangar)। কিন্তু প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তারা নতুন করে পরিকল্পনা তৈরি করে, যার ফলস্বরূপ ফাঁকা জায়গায় রেজ্জাক খাঁ-কে খুন করা হয়।
এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে মোট পাঁচজন। রফিকুলের আগে রবিবার মূল অভিযুক্ত মোফাজ্জেল মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি তৃণমূলেরই নেতা, আর এই তথ্য সামনে আসতেই ঘটনার মোড় ঘুরতে শুরু করে। যদিও ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা শুরু থেকেই খুনের দায় চাপাচ্ছেন আইএসএফ-এর উপর। মোফাজ্জেলের গ্রেফতারির সময়ও তিনি দাবি করেন, ঘটনার মূল চক্রান্তকারী আইএসএফ।
তবে এখানেই থেমে থাকেনি বিস্ফোরক তথ্যের স্রোত। সোমবার সকালে আজাহারউদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যিনি পূর্বে আইএসএফ করলেও পরে শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। আজাহারউদ্দিন একসময় বোমা বাঁধতে গিয়ে গুরুতর আহত হন—সেই সময় দলবদল করেন।
এই সবকিছুর মাঝে রফিকুলের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে তদন্তকারীদের মতে, এই খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক রেষারেষি বড় ভূমিকা পালন করেছে। তৃণমূলের ঘরেই কি উঠে আসছে ষড়যন্ত্রের ছায়া? নাকি আসল চক্র পেছনে অন্য কোনো শক্তি?