Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • কেরালায় গেছেন বলেছিলেন, হাসপাতালেও পাঠিয়েছিলেন! শেষমেশ স্বামীর মৃতদেহ উঠল উঠোন থেকে—রাহিমার মুখে খুনের কাহিনি
দেশ

কেরালায় গেছেন বলেছিলেন, হাসপাতালেও পাঠিয়েছিলেন! শেষমেশ স্বামীর মৃতদেহ উঠল উঠোন থেকে—রাহিমার মুখে খুনের কাহিনি

assam murder
Email :21

গুয়াহাটির পান্ডু এলাকার জয়মতীনগরে ঘটে গেল এক রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড, যেখানে এক স্ত্রী স্বামীকে হত্যা করে নিজ বাড়ির উঠোনে মাটিচাপা দিয়ে লুকিয়ে রাখেন প্রায় ১৭ দিন (Murder)। অভিযুক্ত ৩৮ বছর বয়সী রাহিমা খাতুনকে রবিবার গ্রেফতার করেছে গুয়াহাটি পুলিশ (Murder)।

মৃত স্বামী সাবিয়াল রহমান (৪০) একজন স্ক্র্যাপ ডিলার ছিলেন (Murder)। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ২৬ জুন রাতে দুজনের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া হয়। ওই সময় সাবিয়াল নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। বিবাদ চরমে পৌঁছালে তা গড়ায় শারীরিক হিংসায় এবং ওই সময় সাবিয়াল গুরুতর আঘাতে মারা যান। এরপর রাহিমা নাকি নিজেই প্রায় পাঁচ ফুট গভীর একটি গর্ত খুঁড়ে স্বামীর দেহ মাটিচাপা দিয়ে দেন বাড়ির ভেতরেই (Murder)।

স্থানীয় প্রতিবেশীরা সাবিয়ালকে দীর্ঘদিন ধরে না দেখতে পেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাদের প্রশ্নের উত্তরে রাহিমা প্রথমে বলেন, স্বামী কেরালায় কাজে গিয়েছেন। পরে আবার বলেন, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এই বিভ্রান্তিকর তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে সাবিয়ালের ভাই ১২ জুলাই জালুকবাড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন (Murder)।

ঠিক তার পরদিন, অর্থাৎ ১৩ জুলাই, রাহিমা নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ও ঘটনার বিবরণ দেন। এরপর পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট ও ফরেনসিক দলের উপস্থিতিতে বাড়ির উঠোন থেকে অর্ধগলিত দেহ উদ্ধার করে।

পশ্চিম গুয়াহাটি ডিসিপি পদ্মনাভ বরুয়া জানিয়েছেন, “রাহিমা দাবি করেছে, লড়াইয়ে স্বামীর মৃত্যু হওয়ার পর তিনি ভয়ে পড়ে যান এবং মরদেহ মাটি চাপা দেন। তবে এই ঘটনায় তার একার পক্ষে এত বড় গর্ত খোঁড়া সম্ভব নয়। আমরা অন্য কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা তদন্ত করে দেখছি।”

প্রায় ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় নেমে এসেছে তীব্র শোক ও বিস্ময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts