তৃণমূলের (TMC) অন্দরেই যেন উত্তাল ঢেউ। সাগরদিঘি বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে তৃণমূল নেতার প্রকাশ্য কটাক্ষ ঘিরে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটল দলীয় মহলে। সেই বেফাঁস মন্তব্যের জেরে এবার শোকজ করা হল সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেহবুব আলমকে (TMC)। চিঠি পাঠিয়েছেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান।
সম্পূর্ণ ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে (TMC)। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার সাগরদিঘির পাটকেলডাঙ্গা এলাকায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজ দলের বিধায়ককে (TMC) কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন মেহবুব। সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, “যারা আসল তৃণমূলের সৈনিক, যারা বুথ স্তরে ঘাম ঝরিয়ে কাজ করছেন, তাঁদেরই অবহেলা করছেন বায়রন বিশ্বাস। তিনি সাগরদিঘিকে দ্বিতীয় ভাঙড়ে পরিণত করতে চাইছেন।”
এখানেই থামেননি মেহবুব (TMC)। আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, “নিজের ব্যবসা রক্ষা করতেই তৃণমূলে এসেছেন বায়রন বিশ্বাস। তিনি এখানে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মায়ের কোল’ যদি খালি হয়ে যায়, তার দায় নিতে হবে আপনাকেই।”
এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৎক্ষণাৎ নড়েচড়ে বসে জেলা নেতৃত্ব। দলের তরফে কড়া বার্তা দিয়ে শোকজ চিঠি ধরানো হয় মেহবুবকে। খলিলুর রহমান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “তৃণমূল দল শৃঙ্খলা এবং সংহতির উপর দাঁড়িয়ে। কেউ ইচ্ছেমতো মন্তব্য করলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে বিভাজনের ছবিও স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দলের নেতার এমন ভাষা ব্যবহারে তৃণমূলের ‘অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব’ আরও প্রকট হল বলেই মনে করছেন অনেকেই।
এখন প্রশ্ন, শুধুই শোকজেই থেমে যাবে দল, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে আরও গভীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত?