ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা রেজ্জা খাঁ খুনে (TMC Leader Murder) চাঞ্চল্য আরও তীব্রতর হল। এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরও এক তৃণমূল কর্মী, আজাহারউদ্দিন মোল্লা। রেজ্জা খাঁ হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (TMC Leader Murder)।
গতকালই এই মামলায় বড়সড় মোড় নিয়েছিল তদন্ত (TMC Leader Murder)। গ্রেফতার হয়েছিলেন ভাঙড় তৃণমূল বিধানসভা কমিটির প্রভাবশালী নেতা ও রেজ্জার পাশের বুথের সভাপতি মোফাজ্জেল মোল্লা। তার জেরা থেকে উঠে আসে আজাহারউদ্দিনের নাম। পুলিশের সন্দেহ ছিল, রেজ্জা খুনের ছক কষা হয়েছিল যৌথভাবে এবং বেশ কয়েকজন তৃণমূলের ‘নিজের লোক’ (TMC Leader Murder) সেই ষড়যন্ত্রে যুক্ত।
আজাহারউদ্দিন মোল্লা একসময় আইএসএফ কর্মী ছিলেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তিনি শওকত মোল্লার হাত ধরে স্ত্রী আসমা বিবিকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। রাজনৈতিক জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়ও রয়েছে তাঁর নামের সঙ্গে। আইএসএফে থাকার সময় বোমা বাঁধতে গিয়ে একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন আজাহারউদ্দিন। সেই অবস্থাতেই তিনি ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান।
গতকাল রাতে পোলেরহাট থানা এলাকার একটি আবাসন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ। মোফাজ্জেল মোল্লার মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই আজাহারউদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় জাহান আলি খান ওরফে কাঙাল এবং রাজু মোল্লাকেও।
এখন পর্যন্ত এই শুটআউট কাণ্ডে ধৃত চারজনই কোনও না কোনওভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। রেজ্জা খাঁকে শত্রু বলে মনে করেই কি এদের মধ্যে কেউ বা সবাই এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল, নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? এই প্রশ্ন এখন ভাঙড়ের জনমানসে।
পুলিশ আজ আজাহারউদ্দিনকে বারুইপুর আদালতে পেশ করবে এবং হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। তদন্তে সামনে আসতে পারে আরও বিস্ফোরক তথ্য।