টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব হত্যাকাণ্ডে (Murder) চাঞ্চল্য আরও বেড়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক মর্মান্তিক তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিজের কন্যাকে গুলি করে হত্যার আগে আত্মহত্যার কথাও ভাবছিলেন রাধিকার বাবা দীপক যাদব। সমাজের কটাক্ষ, মানসিক চাপ ও বাবার-মেয়ের মধ্যে জমে থাকা তীব্র মতবিরোধই এই নারকীয় ঘটনার পেছনের মূল কারণ বলে মনে করছে তদন্তকারী দল (Murder) ।
জানা গেছে, ঘটনার কয়েকদিন আগে দীপক তাঁর গ্রামের বাড়ি হরিয়ানার ওয়াজিরাবাদে যান (Murder) । সেখানেই কিছু গ্রামবাসী তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তাঁকে ‘ব্যর্থ পিতা’ বলেও কটাক্ষ করা হয়। এমনকি বলা হয়, তিনি মেয়ের উপার্জনের ওপর নির্ভর করেন এবং মেয়ের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই (Murder) ।
এই মানসিক আঘাত নিয়ে দীপক ফিরে আসেন বাড়িতে। তাঁর মেয়ে রাধিকা যাদব টেনিস কেরিয়ারে চোট পাওয়ার পর নিজেই একটি টেনিস অ্যাকাডেমি চালাতেন (Murder) । পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও সক্রিয় ছিলেন, ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর এলভিশ যাদবের অনুপ্রেরণায় রাধিকা একটি মিউজিক ভিডিওতেও অভিনয় করেছিলেন (Murder) ।
ঘটনার কয়েকদিন আগে দীপক একাধিকবার রাধিকার সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাঁকে অ্যাকাডেমি বন্ধ করে দিতে বলেন। কিন্তু রাধিকা রাজি হননি। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, তাঁর বাবা নিজে যখন প্রায় ২ কোটি টাকা তাঁর টেনিস প্রশিক্ষণে খরচ করেছেন, তখন হঠাৎ করে সব কিছু ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
এই বিষয়ে তিনদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগছিলেন দীপক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই সময়ের মধ্যেই দীপক আত্মহত্যার কথাও ভাবছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পথ না বেছে তিনি নিজের মেয়েকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
হত্যার দিন দীপক ফের রাধিকাকে অ্যাকাডেমি বন্ধ করার কথা বলেন। এরপর, রাধিকা যখন রান্নাঘরে রান্না করছিলেন, তখনই দীপক allegedly একটি বন্দুক নিয়ে এসে পরপর চার রাউন্ড গুলি করেন রাধিকার বুকে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন রাধিকার মা মঞ্জু যাদব। তিনি জানান, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় ঘুমিয়ে ছিলেন এবং কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। কেন দীপক এমন ভয়ংকর পদক্ষেপ নিলেন, তা এখনও তাঁর কাছে অজানা।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা ক্রীড়া জগৎ শোকস্তব্ধ। সমাজের চোখ রাঙানি, মানসিক চাপ ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের মর্মান্তিক পরিণতিই যেন হয়ে উঠল এক প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড়ের জীবনের করুণ পরিণতি।