খড়গপুরে (Khargapur) এক প্রবীণ বাম নেতাকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। অভিযোগের জেরে গ্রেফতার ও পরে দল থেকে বহিষ্কারও হন তিনি (Khargapur)। কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পর মেদিনীপুর জর্জ কোর্ট থেকে জামিন পেলেন সেই বিতর্কিত নেত্রী। জামিন পেয়েই মুখ খুললেন সাংবাদিকদের সামনে—আরও একবার নাম করলেন অনিল দাসের, যাঁর উপর হামলার অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত (Khargapur)।
জামিন পাওয়ার পর আইনজীবীকে (Khargapur) পাশে বসিয়ে বেবি কোলে বলেন, “আমি বিচারব্যবস্থা এবং প্রশাসনের প্রতি আস্থাশীল। আমি কোনও অন্যায় করিনি। বরং অনিল দাসের মতো লোকেরা মহিলাদের গায়ে হাত তোলে—এই অভিযোগেও ওর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। ও যেভাবে আমাদের আক্রমণ করেছিল, তাতে আমরা আত্মরক্ষার জন্য বাধ্য হই।”
তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে তিনি (Khargapur) দাবি করেন, “দল সবটা জানে না। যেটুকু বলা হয়েছে, সেটুকুই শুনেছে। আমি তো তৃণমূলের পতাকা হাতে মারপিট করিনি। বরং দলের মধ্যেই কিছু নেতা টাকা খেয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি দলের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করব। আমি এখনও তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলেই থাকব।”
তবে এই জামিন মেনে নিতে পারছেন না অনিল দাস ও তাঁর পরিবার। ভয় আর ক্ষোভে একসঙ্গে কাঁপছেন তাঁরা। অনিলবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “যে দেশে রাস্তায় ফেলে একজন প্রবীণকে জুতো মারা হয়, সেই ঘটনাকে পুলিশ ছোটখাটো ব্যাপার বলছে! জামিন তারই প্রতিফলন। আমি এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একশোবার উচ্চ আদালতে যাব।”
এখন দেখার, দল থেকে বহিষ্কারের পর ফের তৃণমূল কি বেবি কোলেকে দলে ফিরতে দেবে? আর অনিল দাসের তরফে উচ্চ আদালতের রায় কী মোড় ঘোরায় এই মামলা?