রাজস্থানের চুরু জেলার কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি জাগুয়ার ফাইটার জেট বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারালেন দুই পাইলট (IAF Pilot)। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার লোকেন্দ্র সিং। মাত্র এক মাস আগেই তিনি (IAF Pilot) বাবা হয়েছিলেন। স্ত্রী এখনও রয়েছেন তাঁর নিজের মা-বাবার বাড়িতে। সন্তান জন্মের আনন্দ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নেমে এল গভীর শোকের ছায়া।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ১০ জুন লোকেন্দ্র সিং-এর (IAF Pilot) স্ত্রী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তাঁদের বিয়ে হয়েছিল কোভিড মহামারির সময়। হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা লোকেন্দ্র ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় কমিশনড হন। পরিবারের ছোট ছেলে ছিলেন তিনি (IAF Pilot)। ভাই একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত, আর বোন সদ্যই বায়ুসেনার শর্ট-সার্ভিস কমিশনড অফিসার হিসেবে নিজের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন।
বুধবারের জাগুয়ার দুর্ঘটনাটি ছিল মার্চের পর থেকে তৃতীয় এমন দুর্ঘটনা (IAF Pilot)। ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কোর্ট অফ ইনকোয়ারি গঠন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান ও জেটটির জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান। রাজলদেসর এবং রতনগড় থানার পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এর আগে, ৭ মার্চ অম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে উড়ান ভরার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি জাগুয়ার জেট সিস্টেমের ত্রুটির কারণে ভেঙে পড়ে। তবে সেবার পাইলট সময়মতো ইজেক্ট করে প্রাণে বাঁচেন এবং জনবসতির ওপর আঘাত পড়া এড়ান।
২ এপ্রিল আরেকটি জাগুয়ার প্রশিক্ষণ মিশনে গুজরাটের জামনগর বায়ুসেনা স্টেশনের কাছে ভেঙে পড়ে, একটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে। সেই দুর্ঘটনায় একজন পাইলট শহিদ হন, অপরজন আহত হন।
উল্লেখ্য, জাগুয়ার একটি দ্বি-ইঞ্জিন বিশিষ্ট ব্রিটিশ-ফরাসি যুদ্ধবিমান যা ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স এবং ফরাসি বায়ুসেনায় প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। এর প্রথম উড়ান হয় ১৯৬৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর।
বর্তমানে এই ঘটনার পর পুরো বায়ুসেনা জুড়ে চলছে শোক ও উদ্বেগের পরিবেশ। স্কোয়াড্রন