Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “রাজন্যা নিজেই মমতার কাছে যেতে পারতেন! এখন নাটক করছেন!” — চুঁচুড়ায় বিস্ফোরক বান্ধবী বৈশালী!
রাজ্য

“রাজন্যা নিজেই মমতার কাছে যেতে পারতেন! এখন নাটক করছেন!” — চুঁচুড়ায় বিস্ফোরক বান্ধবী বৈশালী!

rajanya haldar a
Email :5

বহিষ্কৃত তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা হালদারের (Rajanya Halder) সাম্প্রতিক অভিযোগ ঘিরে যখন রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়, তখন সামনে এল এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ‘জয়ী’ ব্যান্ডের সদস্য ও প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেত্রী বৈশালী দত্তগুপ্ত এবার সরাসরি রাজন্যার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন (Rajanya Halder)। তাঁর সাফ অভিযোগ, রাজন্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন।

চুঁচুড়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৈশালী জানান, ২০২৩ সালের ২১ জুলাই ধর্মতলার ঐতিহাসিক সভামঞ্চে রাজন্যা (Rajanya Halder) যে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন, তা ‘জয়ী ব্যান্ড’-এর সদস্য হিসেবে দলের প্রতি অনুগত থাকার পুরস্কার হিসেবেই পেয়েছিলেন। সেই সময় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সভায় অংশগ্রহণ করেছেন, কাছ থেকে দেখা ও কথা বলার সুযোগও পেয়েছেন রাজন্যা। অথচ এখন দাবি করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের সমস্যার কথা পৌঁছে দিতে পারেননি, যা বৈশালীর মতে “সর্বৈব মিথ্যা” (Rajanya Halder)।

রাজন্যার (Rajanya Halder) অভিযোগ, কসবাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তাঁর AI বিকৃত নগ্ন ছবি তৈরি করে এবং সেটি ছড়িয়ে দেয়। এই অভিযোগ ঘিরেই বিতর্ক চরমে পৌঁছয়। কিন্তু বৈশালীর প্রশ্ন, “যে ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর এত কাছে ছিলেন, তিনি কেন নিজে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানাননি?”

এখানেই থেমে থাকেননি বৈশালী। তিনি বলেন, “রাজন্যা আজ বলছে, অনেক মনোজিৎ আছে। আমরা বলছি, এক মনোজিতের নাম করে গোটা ছাত্র সংগঠনের ছাত্রীদের মধ্যে ভয় ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। যাতে মনে হয়, তৃণমূল ছাত্রপরিষদ বা দল মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। অথচ বাস্তবে এর সম্পূর্ণ উলটো চিত্র আমরা পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি নিজে বহুবার আন্দোলনে অংশ নিয়েছি, দিল্লি গিয়েছি। কোনও দিন মনে হয়নি, মেয়েদের কেউ অবমাননা করেছে বা নিরাপত্তার অভাব হয়েছে। বরং, দলের ভাইয়েরাই পাশে থেকেছে সবসময়।”

রাজন্যার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বৈশালী। তাঁর অভিযোগ, “রাজন্যার বাবা সম্প্রতি নতুন বিজেপি সভাপতিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এমনকী রাজন্যা নিজেও লোকসভা নির্বাচনের আগে দাবি করেছিল, বিজেপি নাকি তাকে টিকিট দেবে। কিন্তু কোথা থেকে, কারা দেবে — তা আজ পর্যন্ত বলেনি।”

বৈশালী মনে করেন, সিনেমা তৈরির সময়ও দলের অনুমতি নেননি রাজন্যা। তখন বলা হয়েছিল, ‘নেত্রী রাজন্যা’ এবং ‘অভিনেত্রী রাজন্যা’ আলাদা। কিন্তু দল যখন তাঁকে সাসপেন্ড করে, তখন থেকে শুরু হয় একধরনের আক্রোশ। সেই মানসিকতাই এখন দলকে কালিমালিপ্ত করার দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাঁকে — এমনটাই দাবি বৈশালীর।

এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজন্যা-ঘনিষ্ঠদের দাবি, তিনি যা বলেছেন তা নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছেন। আর বৈশালীদের মত, এটি এক প্রকার ‘ব্যক্তিগত পতনের আক্রোশ’। ফলে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এখন ফের একবার রাজন্যা বনাম তৃণমূল তরজা নতুন করে চড়ছে।

 

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts