পুরুলিয়ার টামনা থানার চাকলতোড়ে গ্রামে ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। শুধুমাত্র মোবাইল চুরির সন্দেহে জনসমক্ষে এক যুবককে টেনে বের করে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে তোলপাড় স্থানীয় বাসিন্দারা (Purulia)। নিহত যুবকের নাম তাপস মহাপাত্র। ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামজুড়ে এখন ক্ষোভ, আতঙ্ক আর শোকের ছায়া (Purulia)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বলরামপুর থানার উরমা গ্রামে এক পরিচিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাপস (Purulia)। সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু বিকেল গড়াতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ মোড় নেয়। অভিযোগ, উরমা গ্রামের তিন যুবক আচমকাই তাপসের বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে এনে শুরু হয় বেধড়ক মারধর (Purulia)। কোনও কথা না বলেই, কোনও প্রমাণ ছাড়াই মারধরের এই ভয়াবহতা ঘিরে স্তম্ভিত এলাকাবাসী।
পরিবারের অভিযোগ, মারধরের পর তাপসকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর রাতেই অভিযুক্তদের তরফে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়—তাপস নাকি বিষ খেয়ে ফেলেছেন, এবং তিনি হাসপাতালে ভর্তি (Purulia)। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাপস মহাপাত্রের।
মৃত যুবকের ঠাকুমা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, “এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের সামনেই নাতিকে মেরে ফেলা হল। থানায় ফোন করলে নাতিটা হয়তো আজ বেঁচে থাকত। ও চুরি করেনি।”
গ্রামবাসীরাও প্রশ্ন তুলছেন, যদি মোবাইল চুরি হয়ে থাকে, তবে কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়নি? নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার দায়ে অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তির দাবি তুলেছেন সকলে।
এদিকে, টামনা থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত তাপসের বিরুদ্ধে এর আগে কখনও কোনও চুরির অভিযোগ আসেনি। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।
এই বর্বর ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখে গণপিটুনি ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা।