Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • সিপিএম নেতাকে প্রকাশ্যে চড় মারল পুলিশ অফিসার! ধাক্কা আন্দোলনের মুখে… গ্রেফতার বাম নেতা!
রাজ্য

সিপিএম নেতাকে প্রকাশ্যে চড় মারল পুলিশ অফিসার! ধাক্কা আন্দোলনের মুখে… গ্রেফতার বাম নেতা!

bengal police
Email :13

ভারত বনধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ পিকেটিং চলছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে। কিন্তু সকাল হতেই ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা (All India Strike)। সিপিএম নেতা মাজেদার রহমানকে প্রকাশ্য রাস্তায় চড় মারলেন থানার আইসি অসীম গোপ। শুধু চড়ই নয়, পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বাম কর্মী-সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক (All India Strike)।

ঘটনার সূত্রপাত আজ, বুধবার সকালে। ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকে দেশজুড়ে বনধ (All India Strike) পালনের ডাক দেওয়া হয়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মতো বংশীহারীতেও পথে নামে বাম কর্মীরা। আন্দোলনের সময় পিকেটিং চলাকালীন থানার আইসি অসীম গোপ এসে জানান, “পিকেটিং চলতে পারে, কিন্তু গাড়ি আটকানো চলবে না।” এরপরই তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সিপিএমের বংশীহারী এরিয়া কমিটির সদস্য মাজেদার রহমান (All India Strike)।

বচসার মাঝে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এক পর্যায়ে আইসি অসীম গোপ বলেন, “অনেকক্ষণ আন্দোলন করছেন, এবার জায়গা ছাড়ুন।” উত্তরে মাজেদার রহমান সাফ জানান, “সারাদিন আন্দোলন করব।” এই জবাবে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আইসি বলেন, “গরম দেখাচ্ছেন?” মাজেদার পাল্টা বলেন, “না, গরম দেখাচ্ছি না।” তখনই নিজের বাঁ হাত দিয়ে সপাটে চড় মারেন পুলিশ অফিসার (All India Strike)।

ঘটনায় হতবাক হয়ে যান মাজেদার সহ অন্যান্য বাম সমর্থকেরা। চড় মারার পর আইসি বলেন, “ফাজলামি হচ্ছে।” এরপরই গ্রেফতার করা হয় সিপিএম নেতাকে। আন্দোলনকারীদের দিকে তাকিয়ে আরও বলেন, “গরম চলবে না, দাদাগিরি চলবে না।” উত্তেজনার জেরে বাম সমর্থকেরা পুলিশ বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়— “পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরো”, “ধর্মঘটে পুলিশের অত্যাচার মানছি না, মানব না।”

ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএমের বংশীহারী এরিয়া কমিটির সম্পাদক বাবলুচন্দ্র দে। তিনি জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের কাছে ধর্মঘটের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছিলাম। আচমকাই আমাদের নেতা মাজেদার রহমানকে চড় মারলেন থানার আইসি। পরে তাঁকে গ্রেফতার করলেন। এই ঘটনা একেবারেই পূর্বপরিকল্পিত এবং উপরতলার নির্দেশেই এমন হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। পুলিশ এখন তৃণমূলের সবচেয়ে বড় বাহিনী হয়ে উঠেছে। যখন অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যে পুলিশকে গালিগালাজ করেন, তখন তারা নিরব থাকে। আমরা এসডিপিও এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানাব। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts