জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেও স্বস্তি নেই বাংলার (Weather Update)। নিম্নচাপের জোড়া ফলায় রাজ্যের আকাশ এখনো ভারী। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজে চলেছে গোটা রাজ্য। প্রবল বর্ষণের কবলে কলকাতা, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ একাধিক জেলা (Weather Update)।
আবহাওয়া দফতরের হিসেব বলছে, শুধু মানিকতলায় সোমবার মধ্যরাত ২টো থেকে মঙ্গলবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০২ মিলিমিটার (Weather Update)। কালীঘাটেও বৃষ্টির অঙ্ক ৬৮.১০ মিলিমিটার। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোয় বর্ষণের দাপট আরও প্রবল। আর সেই সঙ্গে নতুন করে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ডিভিসি-র জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত (Weather Update)।
অন্যদিকে মৌসুমী অক্ষরেখা এখনও সক্রিয় (Weather Update)। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর থাকা নিম্নচাপ এখন কিছুটা সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং সংলগ্ন এলাকায়। সেটি আরও দক্ষিণে সরে গিয়ে ধীরে ধীরে উত্তর ছত্তিসগড়ের দিকে এগোবে বলে পূর্বাভাস। কিন্তু এর জেরে আপাতত বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই রাজ্যের।
এই নিম্নচাপ ছুঁয়ে থাকা মৌসুমী অক্ষরেখা (Weather Update) এখন প্রয়াগরাজ, ডালটনগঞ্জ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর জেরে জুলাই মাসেও প্লাবনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ শিলাবতী, কংসাবতীর মতো গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর জলস্তর ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মোট সাতটি জেলায় থাকতে পারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ।
এই টানা বৃষ্টির সঙ্গে ডিভিসির জল ছাড়ার মাত্রা বাড়লেই পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। বিশেষ করে হাওড়া ও হুগলির মতো নিম্নভূমি এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা প্রবল। এর আগে জুন মাসেও রাজ্যের একাধিক এলাকা বন্যার জলে ডুবে গিয়েছিল, জল ছাড়াকে ঘিরে রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে টানাপড়েনও তৈরি হয়েছিল।
তবে এই চরম উদ্বেগের মাঝেও সামান্য স্বস্তির ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমতে পারে। তবে আপাতত রাজ্যের মানুষকে বৃষ্টির সঙ্গে সহাবস্থান করেই দিন কাটাতে হবে।