ছত্তিশগড়ের রায়পুরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বড় বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু এবং তাঁর পূর্বসূরি রামনাথ কোবিন্দের নাম ভুল উচ্চারণ করায় কড়া আক্রমণের মুখে পড়েছেন তিনি। বিজেপির দাবি, এই ‘ভুল’ আসলে কংগ্রেসের আদিবাসী এবং দলিত বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন।
রায়পুরের সায়েন্স গ্রাউন্ডে জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে “মুর্মা জি” বলে উল্লেখ করেন খাড়গে (Congress)। সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে সংশোধন করে “মুর্মু” বলেন তিনি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আরেকটি চরম ভুল করেন— রামনাথ কোবিন্দের নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে বলেন “কোভিড” (Congress)।
খাড়গে বলেন, “এরা বলে, আমরা দ্রৌপদী মুর্মাকে রাষ্ট্রপতি করেছি, রামনাথ কোবিন্দকেও করেছি। কেন? যাতে আমাদের জঙ্গল, জল ও জমি কেড়ে নিতে পারে। আজ আদানি-আম্বানিরা এগুলো দখল করে বসে আছে।” এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি অভিযোগ এনেছে, কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য দলিত ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ (Congress)।
বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “রাষ্ট্রপতি মুর্মুর প্রতি এমন অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার সমগ্র আদিবাসী সমাজকে অপমান করার সামিল। কোবিন্দজির নাম বিকৃত করে ‘কোভিড’ বলাটা ইচ্ছাকৃত ও নিন্দনীয়।”
অন্য এক বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “খাড়গের বক্তব্য শুধু ভুল নয়, এটি প্রমাণ করে কংগ্রেস কতটা দলিত ও আদিবাসীবিরোধী মানসিকতায় ভুগছে। ওঁরা সংবিধানিক পদে থাকা কাউকে সম্মান করতে জানেন না— তা রাষ্ট্রপতি হন বা প্রধান বিচারপতি বা প্রধানমন্ত্রী।”
এই প্রথম নয়, কংগ্রেস (Congress) এর আগেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছে। ২০২২ সালে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাষ্ট্রপতিকে “রাষ্ট্রপত্নী” বলে উল্লেখ করেন, যা ঘিরে সংসদে তুমুল বিতর্ক হয়। পরে অধীর বলেন, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং তাঁর মাতৃভাষা বাংলা হওয়ায় হিন্দি ঠিকভাবে না জানার কারণে এই বিভ্রান্তি হয়েছিল।