একদিকে ভারত যখন মহাকাশ অভিযানে ইতিহাস গড়ছে, সেই দেশেরই আর এক প্রান্তে ভয়ঙ্কর অন্ধবিশ্বাসের বলি হতে হল এক অসহায় নারীকে। কর্নাটকের (Karnataka) শিবমোগা জেলায় ভূত তাড়ানোর নামে এক মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতার নাম গীতাম্মা। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর নিজের ছেলে সঞ্জয়, এক গুনিন আশা এবং আশার স্বামী সন্তোষ (Karnataka) ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গীতাম্মার কিছু আচরণকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে মনে করেছিলেন তাঁর ছেলে সঞ্জয় (Karnataka) । এরপর তিনি স্থানীয় এক গুনিন আশার দ্বারস্থ হন। গুনিন দাবি করেন, গীতাম্মার উপর ‘ভূতের আছর’ হয়েছে। এই ভূত তাড়ানোর নামে শুরু হয় নারকীয় অত্যাচার।
মুখে ও মাথায় লেবু মাখানো হয় গীতাম্মার, চড়-থাপ্পড় মারা হয়, এমনকি চুল ধরে টেনে টেনে মারধর করা হয় লাঠি দিয়ে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে গভীর রাত অবধি — টানা প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে এই নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় গীতাম্মার (Karnataka) ।
মৃত্যুর পর অভিযুক্ত গুনিন আশা, তাঁর স্বামী এবং গীতাম্মার ছেলে সঞ্জয় পালিয়ে যান। তবে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে এবং তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় মানুষজন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এমন বর্বরতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, শিক্ষার আলো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা সত্ত্বেও ভারতের বহু জায়গায় আজও কতটা গভীরভাবে গেঁথে রয়েছে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার।