মা হওয়ার আশায় এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক যুবতী (Uttar Pradesh)। চিকিৎসার পথ ব্যর্থ হওয়ায় ভরসা রেখেছিলেন অদৃশ্য শক্তির উপর। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে দাঁড়াবে, তা জানতেই পারলেন না অনুরাধা (Uttar Pradesh)। ভয়ঙ্কর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু হল ৩৫ বছরের অনুরাধার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলায়। ঘটনায় এলাকায় শোক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে (Uttar Pradesh)।
জানা গেছে, অনুরাধার বিয়ে হয়েছিল আজ থেকে ১০ বছর আগে (Uttar Pradesh)। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও তিনি মা হতে পারেননি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও ফল না মেলায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অবশেষে স্থানীয়দের পরামর্শে এক তান্ত্রিক চাঁদুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। চাঁদু নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে “চিকিৎসক তান্ত্রিক” বলে পরিচয় দিয়ে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে অনুরাধাকে মা করে তোলার আশ্বাস দেন। অগ্রিম হিসেবে নেওয়া হয় ২২ হাজার টাকা।
রবিবার অনুরাধা তাঁর মায়ের সঙ্গে চাঁদুর ডেরায় যান। সেখানে শুরু হয় অন্ধবিশ্বাসের নামে ভয়াবহ অত্যাচার। তান্ত্রিক দাবি করেন, অনুরাধার শরীরে নাকি ‘অশুভ আত্মা’ ভর করেছে। এই আত্মা তাড়াতেই শুরু হয় তথাকথিত ‘চিকিৎসা’।
অনুরাধার মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে জোর করে ফাঁস দিয়ে টানা হয়, চুল টেনে ধরে মারধর করা হয়, মুখে ও ঘাড়ে গলার ফাঁস লাগানো হয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ — ড্রেন ও বাথরুমের নোংরা জল পান করানো হয় তাঁকে। এই নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুরাধা।
তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনার পর অনুরাধার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত তান্ত্রিক চাঁদু এরপর নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে (Uttar Pradesh)। তবে তাঁর আরও কয়েকজন সহযোগী এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এর আগেও চাঁদুর বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু কখনওই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার তাঁরা অনুরাধার মৃত্যুর পর ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।