উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজফ্ফরনগরের পুরকাজি এলাকায় কানওয়ার যাত্রার সময় ঘটে গেল এক মারাত্মক বিতর্কিত ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, এক পুণ্যার্থীর পবিত্র গঙ্গাজল বহনের কানওয়ারে (বাঁশের কাঠামো) প্রকাশ্যে থুতু ফেলেছে এক যুবক (Uttar Pradesh)। এই ঘটনার জেরে সোমবার সন্ধ্যায় গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত উসমানকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করে (Uttar Pradesh)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিদ্বার থেকে গঙ্গাজল নিয়ে বহু পুণ্যার্থী পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন পুরকাজি এলাকায় (Uttar Pradesh)। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন মুসকান নামে এক মহিলা, যিনি কিছু সময় বিশ্রামের জন্য রাস্তার ধারে বসেছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন শিবভক্ত। অভিযোগ, ঠিক তখনই হঠাৎ এক ব্যক্তি মুসকানের কানওয়ারের উপর থুতু ফেলে দেয় (Uttar Pradesh)।
এই দৃশ্য চোখে পড়তেই আশেপাশের পুণ্যার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে বিশাল জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায় পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক উসমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুরকাজির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যনারায়ণ প্রজাপতি জানিয়েছেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি, মহিলা পুণ্যার্থীর পবিত্র জলের কানওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, তাঁর জন্য হরিদ্বার থেকে একটি নতুন কানওয়ার আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
তবে এই ঘটনার মোড় ঘুরেছে অভিযুক্ত উসমানের পরিবারের বক্তব্যে। তাঁরা দাবি করেছেন, উসমান মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। এমনকি সে কথা বলতে ও শুনতেও পায় না। ফলে এমন কাজ সে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, শ্রাবণ মাসে শিবভক্তরা গঙ্গাজল সংগ্রহ করে শিবমন্দিরে অর্ঘ্য দেন। সেই গঙ্গাজল বহন করার জন্য ব্যবহৃত হয় ‘কানওয়ার’। শিবভক্তরা বহু কিলোমিটার হেঁটে এই যাত্রা সম্পন্ন করেন। এই সময়ে পূণ্যার্থীদের জন্য রাস্তাঘাটে কড়া নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলার ব্যবস্থা করা থাকে।
তবুও এই ধরনের অশ্রদ্ধাজনক ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পূণ্যার্থীরা। তাঁদের দাবি, “যে গঙ্গাজল আমরা হৃদয়ে ধারণ করে পায়ে হেঁটে বয়ে নিয়ে আসছি, সেখানে যদি কেউ এভাবে থুতু ফেলে দেয়, তাহলে কি এটাই আমাদের ধর্মের সম্মান?”
এই ঘটনা সামনে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন স্পর্শকাতর সময়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হলে তার ফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা কি কেউ বুঝছে না?