Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ‘প্রতারকদের আর কত সুযোগ দেবেন?’— হাইকোর্টের সটান প্রশ্নে কোণঠাসা রাজ্য ও এসএসসি!
রাজ্য

‘প্রতারকদের আর কত সুযোগ দেবেন?’— হাইকোর্টের সটান প্রশ্নে কোণঠাসা রাজ্য ও এসএসসি!

calcutta high court
Email :3

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বড় ধাক্কা দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য সোমবার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীরা কোনওভাবেই অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই বিষয়ে ৩০ মে এসএসসি-র জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে সেটি পরিবর্তনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি (Calcutta High Court)।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছিল (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশ মেনেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে এসএসসি। কিন্তু ৩০ মে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ঘিরে একযোগে ৯টি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাগুলির শুনানিতে আজ চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে এসএসসি ও রাজ্য।

কমিশনের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি যে চিহ্নিত অযোগ্যরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। তাঁর যুক্তি ছিল, যদি চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ২০১৬ সালের পুরনো নিয়োগে ব্যর্থ অন্যরাও অংশ নিতে পারবেন না।

এই বক্তব্যে স্পষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য (Calcutta High Court)। তিনি বলেন, “কমিশনের কাছ থেকে এই ধরনের যুক্তি একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। এত বড় দুর্নীতির অভিযোগ, যেখানে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট, সেখানে আপনি কীভাবে অযোগ্যদের নিয়োগে সুযোগ দিতে পারেন?”

আদালতে আরেক আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সাফ বলেন, “বিজ্ঞপ্তিটি বেআইনি। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না।” পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর কী ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছিল?

যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘যোগ্য অধিকার মঞ্চ’-এর পক্ষে আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্রও আদালতে জানান, বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের মধ্যে কোনও ফারাক করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট যে রূপরেখা দিয়েছে, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এসএসসি-র ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পরীক্ষায় সবাই বসতে পারবে, তবে অযোগ্যরা বয়সে ছাড় পাবে না। এই যুক্তিকেও নাকচ করে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “যারা প্রতারণার কারণে অভিযুক্ত, তারা আবার শিক্ষকের পরীক্ষায় বসবে এবং ১০ শতাংশ নম্বরের সুবিধাও পাবে! এটা কোনও যুক্তি নয়।”

সবশেষে হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, অযোগ্যদের বাদ দিয়েই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে হবে এবং তা সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে।

এসএসসি-র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “এই প্রার্থীরা কতবার শাস্তি পাবে?” জবাবে বিচারপতির সংক্ষিপ্ত ও কড়া মন্তব্য— “যারা প্রতারণা করে চাকরি পেয়েছে, তারা বাদ যাবে। একটাও জায়গা পাবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts