Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • “না নেত্রী, না অভিনেত্রী”—রাজন্যার বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রীদের বিষাক্ত বার্তা, দলেই বাড়ছে বিতর্ক!
Important

“না নেত্রী, না অভিনেত্রী”—রাজন্যার বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রীদের বিষাক্ত বার্তা, দলেই বাড়ছে বিতর্ক!

rajanya prantik
Email :15

কসবাকাণ্ডে মুখ খুলেই যেন চারদিক থেকে চাপের মুখে রাজন্যা (Rajanya Halder)। একদিকে যখন তৃণমূলের প্রাক্তন টিএমসিপি নেত্রীর (Rajanya Halder) অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, ঠিক তখনই নিজের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কটাক্ষে বিদ্ধ তিনি। অতীনকন্যার পর এবার নাম না করে রাজন্যার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন তৃণমূল নেত্রী (Rajanya Halder) জুঁই বিশ্বাস।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সুরে জুঁই লেখেন, “যোগ্যতা বিচারের জন্যও যোগ্যতা লাগে। যাঁরা একে মাথায় তুলেছিলেন, তাঁদেরও যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে (Rajanya Halder)। না নেত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে, না অভিনেত্রীর। দুদিনে এসে নেত্রী? কোভিড হোক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, কোথায় ছিল এদের মুখ? ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়েই রাজনীতি করতে এসেছেন।”

এই বিষয়ে ফোন করে জুঁই বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমি গত তিন-চারদিন ধরে এই ঘটনা (Rajanya Halder) টিভিতে দেখছি। দলের কর্মী এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলছি, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কোনও মহিলা এমন ঘটনার শিকার হন, তাহলে তিনি এতদিন চুপ ছিলেন কেন? তিনি তো শিক্ষিতা, নেত্রী হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দেন। যদি নিজেকেই রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে আর পাঁচজনের হয়ে কীভাবে দাঁড়াবেন?”

জুঁই আরও বলেন, “ধরলাম পরে মুখ খুলেছেন। কিন্তু তাতেও একটা সময়ের গুরুত্ব আছে। যদি সত্যিই নিগৃহীত হন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে দলকে জানাননি কেন? বা আইনের দ্বারস্থ হননি কেন? যৌন হেনস্থার অভিযোগে তো দেশে যথাযথ আইন আছে।”

এখানেই থামেননি। তৃণমূলের অপর নেত্রী প্রিয়দর্শিনী ঘোষও রাজন্যার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, “এতদিন চুপ ছিলেন কেন রাজন্যা? যদি সত্যিই এমন কিছু ঘটত, তাহলে কেন দল বা প্রশাসনের কাছে না গিয়ে প্রথমে মিডিয়ার কাছে মুখ খুললেন? এর পিছনে কোনও ‘মুখ’ হওয়ার চেষ্টাই কি লুকিয়ে নেই?”

এই বিতর্কে আরও তাপ জোগায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য। তিনি বলেন, “যখন-তখন কেউ নেতা বা নেত্রী হয়ে গেলে এরকমই হয়। কেউ এল, কেউ গেল—নেত্রী ব্যস্ত ওদের সামলাতে। প্রশাসন কোথায় কেউ জানে না!”

তবে রাজন্যা তাঁর অবস্থানে অনড়। তাঁর দাবি, “আমি তখনই বিষয়টা দলকে জানিয়েছি। যারা বলছে আমি এখন মুখ খুলছি, তারা জানে না আমি কতটা ভেঙে পড়েছিলাম। আমি শুধু নিজের হয়ে নয়, দলের অনেক মেয়েদের হয়ে কথা বলছি। যারা এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, কিন্তু মুখ খুলতে পারেনি।”

এই মুহূর্তে কসবাকাণ্ড ঘিরে শুধু রাজ্য রাজনীতি নয়, শাসকদলের অন্দরমহলেও বাড়ছে চাপানউতোর। কে ঠিক আর কে ভুল, তার উত্তর আপাতত সময়ই দেবে।

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts