পানিহাটির (Panihati) আজাদিনগরে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এক যুবতী স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করে তাঁদের ৯ বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী শ্রীকান্ত ঘোষ (Panihati) । ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ঘোলা থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই পুলিশ সিল করে দিয়েছে সেই বাড়িটি যেখানে ঘটেছে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড।
মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা ঘোষ (Panihati) । বয়স মাত্র ছাব্বিশ। তাঁর স্বামীর বয়স ৪৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের দাম্পত্যে চলছিল বিবাদ। জানা গেছে, বয়সের বিশাল ফারাক ছাড়াও স্বভাব-চরিত্রে বিস্তর অমিল ছিল দু’জনের মধ্যে। বিয়ের পর থেকেই প্রিয়াঙ্কা সংসারে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। মাঝেমধ্যেই বিবাদের সূত্র ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো তাঁকে। তা স্বীকার করেছেন মেয়ের দাদা ও পরিবার (Panihati) ।
পরিবার জানায়, অশান্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, একসময় প্রিয়াঙ্কা নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। তখন পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, আর কখনও তাঁকে শ্রীকান্তর কাছে পাঠানো হবে না। কিন্তু শ্বশুরের অনুরোধ ও মধুর আশ্বাসে আবারও ফিরে যান সেই ‘নরক’-এ। আর তারপরই ঘটে এই ভয়াবহ পরিণতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতেই খুন করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ও শিরা কেটে খুন করেন শ্রীকান্ত। তারপর নিজেই ৯ বছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে শ্রীকান্ত পলাতক। ছেলেকে উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রিয়াঙ্কার পরিবার। শিশুটি কোথায়, কী অবস্থায় আছে, তা জানাই যাচ্ছে না এখনও পর্যন্ত (Panihati) ।
ঘটনার জট খোলার চেষ্টায় নেমেছে ঘোলা থানার পুলিশ। চলছে তীব্র তল্লাশি। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে প্রতিবেশীদের, পরিবারের সদস্যদেরও। জানা যাচ্ছে, দু’বছর আগে শ্রীকান্ত কষ্ট করে ধারদেনা করে এই বাড়িটি কিনেছিলেন। পেশায় তিনি গাড়িচালক। কিন্তু নতুন বাড়ি এলেও পুরনো অশান্তির ছায়া কাটেনি। বরং সেটাই যেন চরম পরিণতির দিকে ঠেলে দিল একটি তরতাজা প্রাণকে।
প্রিয়াঙ্কার পরিবার চাইছে অবিলম্বে গ্রেফতার হোক শ্রীকান্ত, ফিরে আসুক শিশুপুত্র। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো পানিহাটিতে।