অবসরের দীর্ঘ আট মাস পরেও প্রধান বিচারপতির জন্য বরাদ্দ কৃষ্ণা মেনন মার্গের বিলাসবহুল টাইপ-৮ বাংলো ছাড়েননি দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Supreme Court)। এবার এই বিষয়েই কার্যত কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় হাউসিং মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে দ্রুত ওই সরকারি বাসভবন ফাঁকা করে সুপ্রিম কোর্টের হাউসিং পুলে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Supreme Court)।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতিরা অবসরের পর সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত টাইপ-৭ সরকারি বাংলোয় থাকতে পারেন। কিন্তু চন্দ্রচূড় এখনো থাকছেন টাইপ-৮ বাংলোতেই, যা শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতির পদে থাকার সময়েই বরাদ্দ হয়। এই ঘটনায় বিচারব্যবস্থার অন্দরেই তৈরি হয়েছে অস্বস্তির আবহ (Supreme Court)।
এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হলেন বিআর গভাই (Supreme Court)। তাঁর পূর্বসূরি সঞ্জীব খান্না, এমনকি চন্দ্রচূড়ের পরে দায়িত্ব নেওয়া বিচারপতিরাও কোনও সরকারি বাংলো গ্রহণ করেননি (Supreme Court)। তবে চন্দ্রচূড় এখনও সরকারি বাংলো ছেড়ে না যাওয়ায়, সুপ্রিম কোর্টের অন্য বিচারপতিদের মধ্যে অনেকে এখনও সরকারি আবাসনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে ৩৩ জন বিচারপতির মধ্যে চারজন সরকারি বাংলো পাননি। কেউ কেউ রয়েছেন ট্রানজিট অ্যাপার্টমেন্টে, আবার এক বিচারপতি রয়েছেন রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউসে।
এদিকে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, তাঁর দুই কন্যা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষভাবে উপযোগী বাসস্থান খোঁজা সহজ হচ্ছে না। তাই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি এখনো বাংলো ছাড়তে পারেননি। তিনি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টকেও জানিয়ে রেখেছেন। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তিনি নয়া বাড়ি খুঁজছেন। তবে এখনও উপযুক্ত বিকল্প খুঁজে পাননি।
গত ২৮ এপ্রিল তিনি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকেও একটি চিঠি লিখে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই চিঠির উত্তর মেলেনি। বর্তমানে প্রধান বিচারপতি গভাইকে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলো ছাড়বেন খুব শীঘ্রই। যদিও, সরকার পক্ষ থেকে তাঁকে একটি ভাড়াবাড়ির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ওই বাড়িটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় তার সংস্কার চলছে। সেই কাজ শেষ হলেই তিনি ওই বাড়িতে উঠে যাবেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্রচূড়।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে— অবসরের পরও নিয়ম লঙ্ঘন করে কীভাবে এতদিন প্রধান বিচারপতির বাংলো দখলে রেখে থাকতে পারলেন একজন প্রাক্তন বিচারপতি? আর সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ না হলে কি আদৌ বিষয়টি সামনে আসত?