Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “ভুল করিনি, মুখ ঢেকে পালাইনি” — ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিলের পর হাইকোর্টে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন!
রাজ্য

“ভুল করিনি, মুখ ঢেকে পালাইনি” — ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিলের পর হাইকোর্টে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন!

santunu sen a
Email :3

‘এফআরসিপি গ্লাসগো’ নামে বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করে তুমুল বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ এবং চিকিৎসক শান্তনু সেন (Santunu Sen) এবার সরাসরি আইনি লড়াইয়ে নামলেন। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন (Santunu Sen)। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানি হবে।

ঘটনার সূত্রপাত শান্তনু সেনের (Santunu Sen) বিরুদ্ধে ওঠা এক গুরুতর অভিযোগকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ ছিল, তিনি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না করিয়েই ‘এফআরসিপি গ্লাসগো’ নামে একটি বিদেশি ডিগ্রি চিকিৎসক পরিচয়ে ব্যবহার করছিলেন। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁকে শোকজ করে এবং গত বৃহস্পতিবার তলব করে। শান্তনু সেন সশরীরে হাজির হয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করলেও, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি কাউন্সিল। এরপরই তাঁর ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন ২ বছরের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয় (Santunu Sen)।

কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় স্পষ্ট জানান, অভিযোগের যথাযথ তদন্তের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহারের আগে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অনুমতি নেওয়া আবশ্যিক। তা না করেই ব্যবহার করায় শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন ২ বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে।” এমনকি, তৃণমূলের আর এক চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজিও মন্তব্য করেন, “এই সিদ্ধান্ত সঠিক।”

তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন শান্তনু সেন। তাঁর দাবি, “আমার ডিগ্রি সম্পূর্ণ বৈধ। আমি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশনের আবেদন জানিয়েছিলাম, এমনকি তথ্য জানার জন্য আরটিআই-ও করেছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “যদি অন্যায় করতাম, আমি মাথা নিচু করে মুখ ঢেকে পালিয়ে যেতাম। কিন্তু আমি জানি আমি কিছু ভুল করিনি।”

এই অবস্থায় আইনি লড়াইয়ের পথেই হেঁটেছেন শান্তনু। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত খারিজ করার আর্জি জানানো হয়েছে। সোমবার আদালতের রায় কোন দিকে গড়ায়, এখন সেদিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts