রাজনৈতিক রক্তাক্ত পরিণতি (Cooch Behar)? গুলিবিদ্ধ হলেন কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা রাজু দে। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর ওপর গুলি চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, তাঁর হাতে গুলি লেগেছে এবং অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল (Cooch Behar)।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতেই একটি গাড়িতে করে আসা দুষ্কৃতীরা হঠাৎ গুলি চালায় (Cooch Behar)। গুলি করেই চম্পট দেয় তারা। ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়ায় চরম উত্তেজনা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল (Cooch Behar) কংগ্রেস এই হামলার জন্য সরাসরি বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। দলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “রাজু দে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা, এলাকায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এই আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশ যেন দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে-ও সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, “এলাকায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছে। তৃণমূল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে। পুলিশের হাতে ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে, গাড়ির ছবিও ধরা পড়েছে।”
তবে বিজেপি এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গুলির পিছনে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীকোন্দলই মূল কারণ। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, “তৃণমূলের নিজেদের কোন্দলের বলি হচ্ছেন তাঁদের নেতারা, বিজেপিকে দোষ দেওয়া অবাস্তব।”
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ানো এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে।