Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ডা. শান্তনু সেন আর চিকিৎসা করতে পারবেন না! বড় শাস্তির মুখে তৃণমূলের বিতর্কিত নেতা
রাজ্য

ডা. শান্তনু সেন আর চিকিৎসা করতে পারবেন না! বড় শাস্তির মুখে তৃণমূলের বিতর্কিত নেতা

santunu sen a
Email :5

চিকিৎসক এবং তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ডা. শান্তনু সেনের (Santunu Sen) বিরুদ্ধে অবশেষে বড়সড় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। বিদেশি ডিগ্রি বেআইনিভাবে ব্যবহার করে বছরের পর বছর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে। সেইসঙ্গে দুই বছরের জন্য তাঁর চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী দু’বছর শান্তনু সেন (Santunu Sen) আর কোনোভাবেই চিকিৎসা প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় স্পষ্ট জানান, শান্তনু সেন (Santunu Sen) যে বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করছিলেন, তা কাউন্সিলকে না জানিয়েই করছিলেন, এবং সেই ডিগ্রির কোনও নথিভুক্ত বৈধতা নেই। অভিযোগ ছিল, তিনি ব্রিটেনের এফআরসিপি (FRCP) নামক একটি সম্মানসূচক ডিগ্রি ব্যবহার করে রোগী চিকিৎসা করছিলেন—যেটি আদৌ কোনো রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল কোয়ালিফিকেশন নয়।

কাউন্সিলের তরফে তাঁকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর সময় হাজিরার জন্য ডাকা হয়। সেই শুনানিতেই পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়, শান্তনু সেন (Santunu Sen) মেডিক্যাল কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া একটি বিদেশি সাম্মানিক ডিগ্রিকে পেশাগত যোগ্যতা হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।

অভিযোগ ওঠার পর শান্তনু সেন (Santunu Sen) নিজে দাবি করেন, কাউন্সিল তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিশানা করছে। তাঁর কথায়, কাউন্সিল ‘প্রতিহিংসামূলক আচরণ’ করছে। তিনি আরও বলেন, FRCP একটি সম্মানসূচক ডিগ্রি, যেটা ব্যবহার করতে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না। তবে সেই যুক্তি গ্রাহ্য হয়নি।

শান্তনু আরও জানান, তিনি রেজিস্ট্রেশন স্বীকৃতির জন্য ১০ হাজার টাকা জমা করেছিলেন যথাযথ নিয়ম মেনে। কিন্তু সেই টাকাও নাকি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।

এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য এক চিকিৎসক নেতা ডা. নির্মল মাজি বলেন, “শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা একদম ঠিক সিদ্ধান্ত। ওঁর ব্যবহার দলের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী ছিল, তাই তাঁকে দল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। উনি যাঁকে আক্রমণ করছেন, তিনি আমাদের দলের সর্বজনস্বীকৃত নেতা।”

এই ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল, ক্ষমতার আসনে থেকেও আইন লঙ্ঘন করলে ছাড় নেই। চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ পেশায় এমন অবহেলা এবং ভুল তথ্য প্রদর্শনের জন্য একজন চিকিৎসককে এভাবে অপসারণ নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন পদক্ষেপ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts