ভারত-পাকিস্তান (Pakistan) সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাত ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ। তিনি জানান, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় যখন ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নূর খান বিমানঘাঁটির দিকে নিক্ষেপ করে, তখন পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাবাহিনীর হাতে ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড—বুঝে নেওয়ার জন্য যে ক্ষেপণাস্ত্রটি পারমাণবিক বোমা বহন করছে কিনা।
রানা সানাউল্লাহ একটি পাকিস্তানি (Pakistan) সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ওই ৩০ সেকেন্ডে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল যে এটি কি পারমাণবিক হামলা? এটি এক ভয়ানক পরিস্থিতি ছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমি বলছি না ভারত ভালো কাজ করেছে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার না করে, তবে এও ঠিক, এই দিকের কেউ ভুল বোঝেও পারত, এবং পাল্টা পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ হতে পারত, যার ফলে শুরু হয়ে যেত বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক যুদ্ধ।”
উল্লেখ্য, নূর খান (চাকলালা) বিমানঘাঁটি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি অত্যন্ত কৌশলগত ঘাঁটি (Pakistan), অবস্থিত রাওয়ালপিন্ডিতে। ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সময় ভারত এই ঘাঁটির পাশাপাশি সারগোধা, ভোলারী, জেকবাবাদ, সুক্কুর ও রহিম ইয়ার খান-এর মতো আরও কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়ে এসব ঘাঁটির রানওয়ে, হ্যাঙ্গার এবং অন্যান্য ভবনে ব্যাপক ধ্বংসের ছবি।
পাকিস্তানের দাবি, সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছিল যখন জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে পাকিস্তানঘনিষ্ঠ জঙ্গিরা পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে। এরপরই ভারত কড়া জবাব দিতে শুরু করে এবং একে একে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মোহাম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিন-এর একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বাহিনী। নিহত হয় ১০০-রও বেশি জঙ্গি।
ভারতের রাতারাতি অভিযানের জবাবে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পশ্চিম ভারতের কিছু অঞ্চলকে টার্গেট করে, যদিও সেগুলো সফলভাবে প্রতিহত করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এরপর ভারত পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি সামরিক টার্গেটে।
চূড়ান্ত সংঘর্ষের চার দিনের মাথায় ভারত ও পাকিস্তান পারস্পরিক সম্মতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। সাময়িক হলেও, এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে উপমহাদেশ বড়সড় একটি পরমাণু যুদ্ধের মুখ থেকে ফিরে আসে।