আজিত কুমারের (Tamil Nadu) রহস্যময় হেফাজতে মৃত্যুর মামলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শী এম শাক্তিশ্বরণ এখন নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। মাদুরাইয়ের মায়িপুরম এলাকার বাসিন্দা ও মাদাপুরম মন্দিরের এক কর্মচারী শাক্তিশ্বরণ তামিলনাড়ুর ডিজিপি-র কাছে সশস্ত্র নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন (Tamil Nadu)।
জুলাই ২ তারিখে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ২৭ বছর বয়সি যুবক আজিত কুমারকে (Tamil Nadu) হেফাজতে নির্যাতনের ভিডিও তিনি নিজেই ধারণ করেছিলেন এবং পরে সেটি প্রমাণ হিসেবে জমা দেন। এরপর থেকেই তিনি বারবার হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ।
চিঠিতে শাক্তিশ্বরণ আরও লিখেছেন, ২৮ জুন এক বিশেষ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের হাতে আজিত কুমারকে (Tamil Nadu) বেধড়ক মারধর করার সেই ভয়াবহ দৃশ্য তিনি ক্যামেরাবন্দি করেন। অভিযোগ, এই নির্যাতনে নেতৃত্ব দেন গ্রেফতার হওয়া অফিসার এস রাজা, যিনি একাধিক অপরাধে যুক্ত বলে দাবি করেছেন শাক্তিশ্বরণ।
শাক্তিশ্বরণ বলেন, “যখন আজিতকে মারা হচ্ছিল, তখন কেউ কিছু বলতে পারছিল না। আমরা যারা প্রত্যক্ষ করেছি, তারা এখন নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছি। আমরা আজিতকে বাঁচাতে পারিনি, সেই অপরাধবোধ গিলে খাচ্ছে। আরও একজন ঢুকে পড়ায় আমি ভিডিও বন্ধ করে পালিয়ে যাই।”
এই মামলায় ইতিমধ্যেই আদালত প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। সেই কারণে শাক্তিশ্বরণ আবারও নতুন করে সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করেছেন নিজে এবং অন্যান্য সাক্ষীদের জন্য, বিশেষ করে মায়িপুরম এলাকায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আজিত কুমারের মৃত্যু ঘিরে রাজ্যজুড়ে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার হয়, যখন একটি ভিডিও সামনে আসে যেখানে দেখা যায় তাঁকে বারবার লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে।
সোনার গয়নার চুরি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আজিতকে ২৭ জুন একটি গবাদি পশুর শেডে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং পরদিন তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে পুলিশ দাবি করে, তিনি পালানোর সময় খিঁচুনিতে আক্রান্ত হন ও মৃত্যু ঘটে। কিন্তু ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ সত্য— তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে বারবার অনিয়ম ও লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্ব এবং জেলা পুলিশ সুপারের বদলির প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। শেষমেশ আদালতের নির্দেশেই গোটা তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।