কেরালার (Kerala) কোট্টায়ম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের পুরনো ভবনের একটি অংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও দু’জন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওয়ার্ড ১৪ ও ১১-এর পেছনের বাথরুমের অংশ আচমকা ধসে পড়ে (Kerala)।
প্রশাসনের (Kerala) তরফে জানানো হয়েছে, যে অংশটি ধসে পড়েছে, তা বহু পুরনো এবং ব্যবহারের বাইরে ছিল। তবে আশ্চর্যের বিষয়, যে ভবনটি ব্যবহার হচ্ছিল না, সেখানেই কীভাবে সাধারণ মানুষ বা রোগীরা প্রবেশ করলেন, তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন।
ঘটনার খবর পেয়েই দমকল এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রথমে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কারও গুরুতর আঘাত হয়নি। তিনি বলেন, “ধসে পড়া অংশের বদলে নতুন ভবনের নির্মাণ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। রোগীদের স্থানান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছিল। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়।”
কিন্তু এরপরেই আসে বিভীষিকাময় তথ্য (Kerala)। জানা যায়, এক মহিলা প্রায় দু’ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন। কিন্তু উদ্ধারকারী দল সেটি বুঝতে পারেনি। অবশেষে তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই গাফিলতিতে আরও ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।
এই দুর্ঘটনা সেই মুহূর্তে সামনে এল, যখন মাত্র ছয় দিন আগেই কেরালারই থ্রিসুর জেলার কোডাকারা এলাকায় একটি দুই তলা ভবন ভেঙে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক। সেই দুর্ঘটনাও ঘটে সকালবেলা, যখন অধিকাংশ শ্রমিক কাজে বেরোচ্ছিলেন।
এর আগে জুন মাসের শুরুতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল থ্রিসুরের চালাকুডি অঞ্চলে। একটি পেইন্টের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। ইউকেনস রানী গ্লাস অ্যান্ড প্লাইউডের গুদামে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগে। দমকল বাহিনী এবং পুলিশ বহু ঘণ্টা লড়াই করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও, গুদামের পাশে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারগুলি নিয়ে তৈরি হয়েছিল গুরুতর বিপদের আশঙ্কা। তবে সৌভাগ্যক্রমে কোনও বিস্ফোরণ হয়নি।
ঘনঘন এই ধরণের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় কেরালার অবকাঠামো এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। পুরনো ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও সময়মতো রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কোথায় গাফিলতি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার দাবি উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যেই।