Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • কলেজে যদি না হয় ভোট, ইউনিয়ন থাকবে না! কলকাতা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় শুনে কেঁপে উঠল রাজনীতি
রাজ্য

কলেজে যদি না হয় ভোট, ইউনিয়ন থাকবে না! কলকাতা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় শুনে কেঁপে উঠল রাজনীতি

calcutta high court
Email :4

নির্বাচন হয়নি, অথচ চলছে ছাত্র সংসদ (Kasba Case)! এমন অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচন ছাড়াই কলেজে ইউনিয়নের (Kasba Case) অস্তিত্ব রাখা বেআইনি বলেই জানিয়ে দিল আদালত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়— যতদিন পর্যন্ত কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হচ্ছে, ততদিন রাজ্যের সমস্ত কলেজের ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখতে হবে।

এই মামলায় আবেদনকারী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের কোনও কলেজেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু কলেজে ‘ইউনিয়ন’ নামেই গড়ে উঠেছে একধরনের অঘোষিত ছাত্রশক্তি (Kasba Case)। চলছে ইউনিয়নের ব্যানারে নানা কর্মকাণ্ড, এমনকি ইউনিয়ন রুমও খোলা রাখা হচ্ছে। যা পুরোপুরি বেআইনি।

আদালত এ বিষয়ে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে— এখন থেকে কোনও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন রুম খোলা রাখা যাবে না। (Kasba Case) শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুমতি থাকলে তবেই রুম খোলা রাখা যেতে পারে।

আদালতের প্রশ্ন, নির্বাচন না হলে ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত মতপ্রকাশের অধিকার কোথায়? বিচারপতি সৌমেন সেন এদিন আরও জানতে চান, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কোনও পরামর্শ দিতে পারে না? আদালতের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, এই ধরনের পরামর্শ দেওয়া আইনি ভাবে সম্ভব নয়। তবে আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারকে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে— ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান কী, তা বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ১৬ জুলাই।

বিচারপতি এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন— কলেজগুলিতে অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি আছে কি না? এর জবাবে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বেশিরভাগ কলেজেই তিনি এমন কোনও কার্যকর কমিটি দেখেননি।

আদালতের এই রায়কে আইনের জয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে নির্বাচন ছাড়া ছাত্র সংসদ চালানো হচ্ছিল, তা গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধাচরণ। এই রায়ের মাধ্যমে ছাত্র সমাজের মধ্যে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো ফিরে আসবে বলেই আশাবাদী তিনি।

এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যও। তাঁর কথায়, “দিনের পর দিন এই ইউনিয়ন রুমগুলোতে বেআইনি কাজকর্ম চলেছে। বহিরাগতদের দখলদারি হয়েছে। এবার আদালতের হস্তক্ষেপে অন্তত কিছুটা স্বস্তি মিলবে।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার দাবি, “ইউনিয়ন রুমে কী নেই! অস্ত্র, টাকা, পয়সা— সব কিছু লুকিয়ে রাখা হয় এই ঘরগুলোতে। এগুলো অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।”

সব মিলিয়ে কলেজ রাজনীতিতে এক বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত দিয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়। এখন নজর, রাজ্য সরকার ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে কী তথ্য পেশ করে আদালতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts