কলেজে গণধর্ষণের (Kasba Case) নৃশংস ঘটনার পর কী করেছিলেন মূল অভিযুক্ত? একে একে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের হাতে এসেছে মূল অভিযুক্তের মোবাইলের কললিস্ট, আর তাতেই মিলেছে এমন এক তথ্য যা ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার ঠিক পরেই কলেজ থেকেই ফোন করা হয়েছিল তৃণমূলের এক প্রভাবশালী ছাত্রনেতাকে (Kasba Case)। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত সেই নেতার বাড়িতে যেতে চেয়েছিল, যদিও নেতা তাতে রাজি হননি।
তবে এখানেই শেষ নয়। পুলিশের দাবি, সেদিন রাত ১১টা নাগাদ সাউথ কলকাতা ল কলেজ থেকে বেরিয়ে মূল অভিযুক্ত (Kasba Case) পৌঁছয় বালিগঞ্জের ফার্ন রোডে। বিজন সেতু পেরিয়েই দেখা হয় সেই প্রভাবশালী ছাত্রনেতার সঙ্গে। কে তিনি? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে শহরের রাজনীতির অলিন্দে। তদন্তকারী অফিসাররা এখন বিজন সেতুর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।
সূত্রের খবর, ওই রাতেই ফার্ন রোড থেকে হাজরা মোড়ের দিকে রওনা দেয় অভিযুক্ত (Kasba Case)। সেখানে আর এক ছাত্রনেতার সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন বলছে, মধ্যরাত পর্যন্ত হাজরাতেই অবস্থান করছিল সে।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত একাধিক তৃণমূল নেতা ও ছাত্রনেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। এমনকি নির্যাতিতাকেও ফোন করে ভয় দেখানো হয়— থানায় যেন কোনও অভিযোগ না করা হয়।
পুলিশ জানায়, এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, যার প্রমাণও আছে। কিন্তু তবু বারবার সে পার পেয়ে গিয়েছে। এবার আর তা হয়নি। ধরা পড়ার পর তার মোবাইল ঘেঁটে উঠে এসেছে এমন এক নেতার নাম যার সঙ্গে তার গভীর যোগাযোগ রয়েছে। সেই প্রভাবশালী ছাত্রনেতার পরিচয় নিয়েই এখন সরগরম তদন্ত ও রাজনীতি।