কালীগঞ্জে (Nadia) রাজনৈতিক হিংসার বলি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না। উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন তৃণমূলের বিজয় মিছিলে বোমা ছোড়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সেই নিষ্পাপ শিশুর। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকে পাথর পরিবার আজ আর পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না (Nadia)। ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হলেও এখনও অধরা ১৫ জন অভিযুক্ত— সেই হতাশা থেকেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হল তামান্নার পরিবার।
এই মামলায় তাঁদের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। পরিবারের দাবি, (Nadia) দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও এখনও পর্যন্ত প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়েনি। মৃতার মা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আর পুলিশের উপর আস্থা নেই। এতদিন শুধু ভরসা করেছি, কিন্তু আজও দেখি যারা ওর মৃত্যুর জন্য দায়ী, তারা দিব্যি বাইরে ঘুরছে। আমরা চাই, এবার হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করুক। সঠিক বিচার হোক।”
গত ২৩ জুন কালীগঞ্জ (Nadia) উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা বিজয় মিছিলে বেরিয়ে উৎসব শুরু করেন। সেই সময়ই চলতে থাকে বোমাবাজি। অভিযোগ, সেই উৎসবের মাঝেই ছোড়া বোমার আঘাতে প্রাণ হারায় ছোট্ট তামান্না।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও অধরা রয়েছেন মূল ষড়যন্ত্রকারীদের অনেকেই। গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি গাওয়াল শেখ ও তাঁর ছেলে বিমল শেখকে। তাঁদের কৃষ্ণনগরের আদালতে পেশ করা হয়েছে।
তামান্নার বাবা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। পুলিশের উপর যতটা ভরসা করেছিলাম, সব শেষ হয়ে গেছে।”
এই নির্মম ঘটনায় ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষও। ছোট্ট মেয়েটির প্রাণ শুধু একটি উৎসবের বলি হয়ে যাবে? প্রশ্ন তুলছে রাজ্য রাজনীতি।