কসবা কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! এবার পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান মেডিক্যাল (Burdwan) কলেজেই উঠে এলো যৌন হেনস্থার ঘটনা। হাসপাতালের ভেতরেই এক মহিলা জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন আর এক ইন্টার্ন ডাক্তার। অভিযোগ অনুযায়ী, মঙ্গলবার এই ঘটনার পর বুধবার কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই তরুণী চিকিৎসক (Burdwan)।
অধ্যক্ষ (Burdwan) জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি পাঠানো হয়েছে কলেজের অভ্যন্তরীণ লিঙ্গ হেনস্থার তদন্ত কমিটির কাছে। আগামী শুক্রবার এই ঘটনা ঘিরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে। যদিও অভিযোগ পেয়ে কলেজ প্রশাসন যত দ্রুত পদক্ষেপ করছে (Burdwan), ততটাই বিস্মিত মেডিক্যাল মহল। কারণ, ঠিক এক বছর আগেই আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল সারা দেশ। তার রেশ এখনো মুছে যায়নি। তার মধ্যেই কসবা এলাকায় এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ও গ্রেফতারি—তার জেরে জনমনে তৈরি হয়েছে প্রবল ক্ষোভ ও আতঙ্ক।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন করে বিতর্কে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Burdwaman)। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ও ছাত্রছাত্রীদের মনোভাব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগের আঙুল যাঁর দিকে, সেই অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচার চালাতেই এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমাকে হেনস্থা করতেই এই পথ নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে সাধারণ ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মধ্যেও ছড়িয়েছে তীব্র উত্তেজনা। মহিলা চিকিৎসক নিরাপদ তো? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে সরব হয়েছেন অনেকে।