Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ৮ বছর কেটে গেল, ১০ লক্ষ টাকার পুরস্কার, ৫০০ পুলিশ – তবু নিখোঁজ জেএনইউ ছাত্র নাজিব কোথায়?
দেশ

৮ বছর কেটে গেল, ১০ লক্ষ টাকার পুরস্কার, ৫০০ পুলিশ – তবু নিখোঁজ জেএনইউ ছাত্র নাজিব কোথায়?

neajeeb
Email :13

জেএনইউ ছাত্র নাজিব আহমেদের হঠাৎ নিখোঁজ (JNU Student Missing) হওয়ার ঘটনা আজও রয়ে গেছে এক অপূর্ণ অধ্যায়। ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় আট বছর, কিন্তু সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত নাজিবের কোনও সন্ধান মেলেনি (JNU Student Missing)। এত বড় অনুসন্ধান, এত সংস্থা, এত তথ্যপ্রমাণ—তবুও রহস্য আজও রহস্যই থেকে গেল।

সোমবার, দিল্লির এক আদালত সিবিআই-এর দায়ের করা ক্লোজার রিপোর্ট গ্রহণ করে জানিয়েছে, তদন্ত সংস্থা সম্ভাব্য সমস্ত দিক থেকে অনুসন্ধান করেছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট জমা পড়েছে। তবে আদালত জানিয়েছে, “এই মামলা তদন্ত শেষ হলেও, এক মায়ের আশা এখনও বেঁচে আছে (JNU Student Missing)।”

২০১৬ সালের ১৪-১৫ অক্টোবর রাত—এই সময়েই জেএনইউ-এর মাহী-মাণ্ডবী হোস্টেলে ঘটেছিল নাজিবের সঙ্গে সহপাঠীদের বচসা। অভিযোগ, হোস্টেল নির্বাচনের প্রচারে এসে নাজিব এক ছাত্রকে চড় মেরেছিল, আরেকজনকে ধাক্কা দিয়েছিল। পরে, হোস্টেল অফিসে জরুরি বৈঠকে নাজিব নিজের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে (JNU Student Missing)।

তবে ওই ঘটনার ঠিক পরের দিন, ১৫ অক্টোবর দুপুরে নাজিবের মা ফাতিমা নাফিস যখন দিল্লি পৌঁছন, তখন তিনি খুঁজে পান না ছেলেকে। ফোন, ল্যাপটপ সবই ছিল রুমে, কিন্তু নাজিব নিজে নেই। শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল একটি অটো-রিকশায় ওঠার সময়, হাতে কোনও ব্যাগ ছিল না—শুধু পরনের জামাকাপড়।

দিল্লি পুলিশ থেকে শুরু করে, সিবিআই পর্যন্ত তদন্ত করে ৫৬০ জন সাক্ষীর বয়ান নিয়েছে, ১১৬ জন অটো-চালকের জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে, ২০০-র বেশি নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে, এমনকি ইন্টারপোলের মাধ্যমেও ‘ইয়েলো নোটিস’ জারি করা হয়েছিল (JNU Student Missing)। স্নিফার ডগ, হর্স-মাউন্টেড পুলিশ, ড্রোন ও পুরো জেএনইউ ক্যাম্পাসে দুই দফা চিরুনি তল্লাশি—সবই হয়েছিল।

najeeb a
এখনও আশায় দিন গুনছে মা

সিবিআই জানিয়েছে, নাজিবের (JNU Student Missing) সহপাঠীদের লোকেশন, লাইব্রেরি ও স্কুল অফ ল্যাংগুয়েজে উপস্থিত থাকার তথ্য ও কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখা হয়েছে। ব্যাঙ্ক ট্রানজ্যাকশন, রেল-ট্রাভেল, ক্যাব রেকর্ড—সব জায়গা খতিয়ে দেখে কোনও জোরালো সূত্র মেলেনি।

তদন্তকারীরা বলছেন, সহপাঠীদের সাথে সংঘাত থাকলেও, সেই ঘটনার সঙ্গে নাজিবের নিখোঁজ হওয়ার সরাসরি যোগসূত্র প্রমাণ হয়নি।

২০১৮ সালে সিবিআই তদন্ত বন্ধ করে ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেয়, যেটি এই বছর আদালত গ্রহণ করেছে। তবে বিচারক জানিয়েছেন, যদি ভবিষ্যতে কোনও নতুন তথ্য উঠে আসে, তাহলে সিবিআই আবার তদন্ত শুরু করতে পারে।

তবু প্রশ্নটা থেকেই যায়—নাজিব গেল কোথায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts