সিভাগঙ্গা জেলায় (Tamil Nadu) এক মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষী অজিত কুমারের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সোমবার রাতের দিকে এই ঘটনায় পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ (Tamil Nadu)। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী অজিতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে সূত্রে জানা গেছে, যা নির্যাতনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় গুরুত্ব পেতে শুরু করে যখন মাদুরাই বেঞ্চ অব মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Tamil Nadu) স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, এই মামলাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। এরপরই চেন্নাই পুলিশ সদর দফতরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।
গত ২৭ জুন অজিত কুমারকে প্রথমবার আটক করা হয় (Tamil Nadu)। অভিযোগ ছিল, এক মহিলা যিনি তার মাকে নিয়ে মন্দিরে এসেছিলেন, তিনি পার্কিংয়ের জন্য অজিতের সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু অজিত গাড়ি চালাতে না জানায় তিনি অন্যদের ডাকেন। পরে ঐ মহিলা অভিযোগ করেন, গাড়িতে রাখা ব্যাগ থেকে ১০ ভরির সোনার গয়না নিখোঁজ হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অজিত এবং আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নিয়ে যায় এবং সেদিনই ছেড়ে দেয়।

তবে এরপর একটি বিশেষ তদন্তকারী দল অজিতকে আবার ধরে নিয়ে গিয়ে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অজিতের পরিবার অবশ্য এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মানতে রাজি নয়। তাঁদের অভিযোগ, হেফাজতে থাকা অবস্থায় অজিতকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে এবং সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মাত্র ২৭ বছর বয়সী অজিতের এই নির্মম মৃত্যুর পর রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে জনরোষ এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ডিএমকে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন এই ঘটনার জেরে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই ছয় পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভাগঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আশীষ রাওয়াত।