দক্ষিণ কলকাতার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রী গণধর্ষণের (Kasba Case) অভিযোগ ঘিরে চরম সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গভর্নিং বডির তরফে। এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের (Kasba Case) মধ্যে তীব্র ক্ষোভ, হতাশা আর অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।
রবিবার গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের কাছে একটি নোটিস পাঠানো হয়, যেখানে জানানো হয় যে সোমবার থেকে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ ঘিরে তৈরি হয়েছে বড়সড় প্রশ্ন (Kasba Case)।
এক ছাত্রী (Kasba Case) জানান, “আমাদের কলেজের পক্ষ থেকে আগাম কিছুই জানানো হয়নি। হঠাৎ করে রবিবার রাতে একটা নোটিস আসে। বলা হয়, সোমবার থেকে কলেজ বন্ধ। এতে আমাদের পড়াশোনার তো অপূরণীয় ক্ষতি হবে। রেজাল্ট আটকে আছে, জুনিয়রদের পরীক্ষা আটকে গেছে। এটা তো হওয়ার কথা নয়। আমরা এখানে প্রফেশনাল ডিগ্রির জন্য পড়তে এসেছি, অথচ এখানে এসব হচ্ছে!”
ছাত্রছাত্রীরা আগেও অভিযোগ তুলেছিলেন, কলেজে নিয়মিত ক্লাস হয় না, পঠনপাঠনের মান খারাপ, এবং প্রশাসনিক অচলাবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই চলেছে। এখন এই ঘটনায় পুরো পরিবেশ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
একাধিক ছাত্রীর দাবি, কলেজে নিরাপত্তার একেবারে ঘাটতি ছিল। কেউ আইডি কার্ড ছাড়াই দিব্যি কলেজ চত্বরে ঢুকে যেত। কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের অবাধ আনাগোনা নিয়ে আগেও বহুবার অভিযোগ তোলা হয়েছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা আমলেই নেয়নি।
রবিবার কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা বাধার মুখে পড়েন। সোমবারই কলকাতায় আসে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। লালবাজারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে কলেজে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—তাঁরা আদৌ কলেজে ঢোকার অনুমতি পাবেন কি না? কলেজে এত কড়াকড়ি কেন? কিছু কি লুকোতে চাইছে কলেজ প্রশাসন?
বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক, ক্ষোভ এবং অনিশ্চয়তা চরমে। কলেজ বন্ধ, পরীক্ষা ও ফলাফল অনিশ্চিত—এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কী করবেন, তার কোনও স্পষ্ট দিশা নেই।
এই ঘটনায় সামনে এসেছে এক ভয়াবহ প্রশ্ন—একটি প্রফেশনাল ল কলেজে নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক জবাবদিহি কোথায়? আর কতজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়বে এমন অব্যবস্থার জেরে?