একজন ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তিকে ভুয়া বিয়ের ফাঁদে ফেলে নৃশংসভাবে হত্যা (Murder) করার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ থেকে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলা সাহিবা বানো, যিনি ‘খুশি তিওয়ারি’ নাম ধারণ করেছিলেন, মর্মান্তিক এই ঘটনার মূল চক্রী (Murder) বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃত (Murder) ব্যক্তির নাম ইন্দ্র কুমার তিওয়ারি, তিনি মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা। ৬ জুন উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরের হাটা এলাকা থেকে একটি নর্দমা থেকে তার মৃতদেহ (Murder) উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাকে ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা (Murder) করা হয়েছে। প্রথমে মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি, তবে কয়েক সপ্তাহ পর এটি জবলপুর থানায় করা একটি নিখোঁজ ডায়েরির সঙ্গে মিলিয়ে সনাক্ত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ইন্দ্র কুমার সামাজিক মাধ্যমে একটি রিল পোস্ট করেছিলেন যেখানে তিনি বলেন, তিনি এখনও বিয়ে করেননি এবং তার নামে ১৮ বিঘা জমি রয়েছে। এই ভিডিও দেখেই সাহিবা বানো তার প্রতি আগ্রহ দেখান এবং ফাঁদ পাতেন।

ভুয়া আধার কার্ড ব্যবহার করে ‘খুশি তিওয়ারি’ নাম নিয়ে সাহিবা তার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেন এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর সাহিবা তাকে গোরখপুরে ডেকে নেন এবং দুই সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ভুয়া বিয়ের আয়োজন করেন। বিয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইন্দ্র কুমারকে খুন করে তার দেহ ফেলে দেওয়া হয় ড্রেনে।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য — সাহিবার পরিকল্পনা ছিল বিয়ের ছবি ও ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে নিজেকে ইন্দ্র কুমারের বিধবা প্রমাণ করে তার জমির দখল নেওয়া।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন, কুশল, নিজেও একইভাবে এর আগেও একটি ভুয়া বিয়ের শিকার হন বলে জানা গেছে। পুলিশের সন্দেহ, সাহিবা কুশলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে জমি বিক্রির পর টাকা ভাগ করে দেওয়া হবে।
এই ঘটনায় গোটা এলাকা ও অনলাইন জগতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এ ধরনের প্রতারণামূলক বিয়ের চক্র তারা এখন গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে।