Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • গাঁজা-মদ-অস্ত্র-ধর্ষণ! ক্লাস সেভেন থেকেই অপরাধের পথে মনোজিৎ, কসবা গণধর্ষণে ফাঁসল ‘আইন পড়ুয়া দানব’!
রাজ্য

গাঁজা-মদ-অস্ত্র-ধর্ষণ! ক্লাস সেভেন থেকেই অপরাধের পথে মনোজিৎ, কসবা গণধর্ষণে ফাঁসল ‘আইন পড়ুয়া দানব’!

manajit mishra
Email :4

কসবা (Kasba Case) আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সম্পর্কে উঠে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেই স্পষ্ট, কলেজে নতুন ছাত্রী ভর্তি হলেই তাদের লক্ষ্য করত মনোজিৎ (Kasba Case)। যেচে ‘বন্ধুত্ব’ করার নাম করে তৈরি করত সম্পর্ক, এরপর ধীরে ধীরে মেয়েদের উপর শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা চালাত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই অবাধ্য ও অপরাধপ্রবণ মনোজিৎ (Kasba Case)। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় থেকেই তার মধ্যে মাদক ও মদের আসক্তি ছিল। স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পর দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দাপট দেখাতে শুরু করে। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর কোমরে বেআইনি অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং ভয় দেখানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে (Kasba Case)। এমনকি একবার চেতলা ব্রিজের কাছে এক ব্যক্তিকে ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টাও করে বলে পুলিশি নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

মনোজিৎ ওরফে পাপাই ওরফে ম্যাঙ্গোর বিরুদ্ধে দুইটি অস্ত্র আইন সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে। এ সব কারণে একসময় তার আইন পড়াও চার বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সে ২০১৪ সালে প্রথমবার আইন কলেজে ভর্তি হলেও মামলার চাপ এড়াতে গা ঢাকা দেয়। ২০১৮ সালে ফের নতুন করে কলেজে ভর্তি হয় এবং নতুন ছাত্রীদের টার্গেট করতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

পাড়ায় বাসিন্দারাও তার কর্মকাণ্ডে রীতিমতো বিরক্ত ছিলেন। অভিযোগ, নিয়মিত মদ্যপ অবস্থায় পাড়ার তরুণী ও গৃহবধূদের হেনস্তা করত সে। পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও তোলাবাজি করত।

মনোজিতের পারিবারিক পটভূমিও বেশ জটিল। বাবা রবীন মিশ্র কালীঘাট এলাকার প্রাক্তন সিপিএম নেতা। বর্তমানে কালীঘাটে একটি পেঁড়ার দোকানের মালিক। প্রতিবেশীদের দাবি, ওই দোকানটিও জোর করে দখল করেছে মনোজিৎ। বাবা-পুত্রের মধ্যে সম্পর্কও সাপে-নেউলের মতো। ঘটনার পরে রবীন মিশ্র জানান, তাঁর ছেলে রাজনীতির বলি। তবে দোষী হলে শাস্তি অবশ্যই প্রাপ্য। মনোজিতের মা যদিও ছেলের অপরাধে হতবাক, কিন্তু প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত জায়েব আহমেদের পরিবার জানিয়েছে, গণধর্ষণের রাতে বাড়ি ফিরে সে এমনভাবে ব্যবহার করেছিল, যেন কিছুই হয়নি। যদিও তার কাকা ও পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, সে যদি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও নীরব ছিল, তাহলেও সেটি অপরাধেরই অংশ।

অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের পরিবার এলাকার অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত। তাই তাদের পক্ষে ছেলের এই কাণ্ডে জড়িয়ে পড়া বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় তাজ্জব গোটা এলাকা।

আইন কলেজের গা শিউরে ওঠা এই গণধর্ষণের ঘটনায় বারবার উঠে আসছে প্রশ্ন—কোথায় প্রশাসন, কোথায় কলেজ কর্তৃপক্ষ? এবং এত দিন ধরে এক অপরাধীর এত ‘দাপট’ চলতে থাকলেও কেন তা থামানোর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত জোরকদমে চলছে। মনোজিৎ মিশ্র সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে সমাজের চোখে প্রশ্ন একটাই—আইনের ছাত্র হয়ে এত অপরাধ কীভাবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts