Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • লজ্জা! সন্তানের সামনেই হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ, বিবস্ত্র করে ভিডিয়ো ভাইরাল—বিএনপি নেতার পাশবিকতা!
বিদেশ

লজ্জা! সন্তানের সামনেই হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ, বিবস্ত্র করে ভিডিয়ো ভাইরাল—বিএনপি নেতার পাশবিকতা!

rape
Email :15

বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের এক নারকীয় ঘটনায় স্তব্ধ দেশবাসী। বাড়িতে একা থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবতীকে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় কুমিল্লার মুরাদনগর। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতা (Bangladesh) । তবে ঘটনার পর থেকে রাজনৈতিক বিতর্কও দানা বাঁধছে, একাংশের দাবি অভিযুক্ত আসলে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। বছর পঁচিশের এক যুবতী সন্তানদের নিয়ে কিছুদিন আগে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন (Bangladesh) । ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। পরিবার গিয়েছিল স্থানীয় পুজোর অনুষ্ঠানে। সেই ফাঁকে এক ব্যক্তি, বয়স আনুমানিক ৩৮, যুবতীর বাড়িতে এসে দরজা খুলতে বলেন (Bangladesh) । যুবতী রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত জোর করে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে এবং গলায় ছুরি ধরে তাঁকে ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতনের পর ওই যুবতীকে বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়ির বাইরে টেনে আনা হয়। লোকসমক্ষে তাঁর উপর চালানো হয় পাশবিক অত্যাচার।

এই নির্লজ্জ, অমানবিক ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ঘটনার রাতে ওই মহিলার চিৎকার শুনে তাঁরা বাড়ির বাইরে ছুটে আসেন। এসে দেখেন দরজা ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে, আর যুবতী রক্তাক্ত ও ধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে চিকিৎসা ও পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্তকে তখনই ধরে মারধর করা হলেও, সে কোনওভাবে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এদিকে, ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে ঘটনার নেপথ্য উদ্দেশ্য ও রাজনৈতিক যোগ নিয়ে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা চরমে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিএনপি-ঘনিষ্ঠ এক স্থানীয় নেতা। অন্যদিকে, শাসকদলের অনুগামীরা পাল্টা দাবি করেছেন, তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির নাম দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নারীর উপর এমন পাশবিক অত্যাচার আবারও সামনে নিয়ে এল দেশের নারী নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের ভয়াবহ বাস্তবতা। বারবার ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে রাজনৈতিক পরিচয় ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে এখন একটাই দাবি—দোষীর কঠোরতম শাস্তি হোক, দলমত নির্বিশেষে।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts