Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • সর্বশেষ মৃতদেহের পরিচয় মিলতেই কেঁদে উঠল পরিবার! আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৬০
দেশ

সর্বশেষ মৃতদেহের পরিচয় মিলতেই কেঁদে উঠল পরিবার! আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৬০

plane crash a
Email :10

আহমেদাবাদের মেঘাণিনগর এলাকায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর, অবশেষে শেষ অজ্ঞাত মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। শনিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার মোট মৃত্যু সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ২৬০ জনে।

গত ১২ জুন, লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান সদ্য উড্ডয়নের পরই ভেঙে পড়ে (Plane Crash)আহমেদাবাদের সারদার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন মেঘাণিনগর এলাকার একটি হোস্টেল কমপ্লেক্সে। বিমানে থাকা (Plane Crash) ২৪১ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যের মধ্যে ২৪০ জন নিহত হন। সেই সঙ্গে মাটিতে থাকা আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয় (Plane Crash)। শুধুমাত্র একজন যাত্রী, ৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ, অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান।

plane crash hostel
বিধ্বস্ত বিমান

ডিএনএ টেস্টের ফলাফল হাতে আসার পর আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডঃ রাকেশ জোশি জানান, “এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় শেষ অজ্ঞাত মৃতদেহটির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত সব ২৬০ জন নিহত ব্যক্তির মরদেহ তাঁদের আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

মরদেহগুলোর অধিকাংশ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল বা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে সেগুলি চিহ্নিত করা ছিল অসম্ভব। ফলে সরকারের তরফে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এত বড় সংখ্যক মরদেহ শনাক্ত করতে সাধারণত কয়েক মাস লেগে যায়। কিন্তু এই বিশেষ ঘটনায় মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সব পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে, যা এক অভাবনীয় সাফল্য বলেই ধরা হচ্ছে।

সরকারি তথ্যমতে, এই ২৬০ জন নিহতের মধ্যে ২০০ জন ভারতীয় (যার মধ্যে ১৮১ জন ছিলেন যাত্রী এবং ১৯ জন মাটিতে থাকা ব্যক্তি), ৫২ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান।

তিনজন গুরুতর আহত এখনও আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা শুধু গুজরাট নয়, সারা দেশের মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। মৃতদের পরিবারের দুঃখের ভার এখনও প্রশমিত হয়নি, যদিও প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts