কালীগঞ্জের (Nadia) বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে নেমে আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে ধরা পড়েছে তৃণমূলের বুথ সভাপতি গাওয়াল শেখ ও তাঁর ছেলে বিমল শেখ। বাবা-ছেলে দু’জনেই বহুদিন ধরেই পলাতক ছিল (Nadia)। সূত্রের খবর, ঘটনার দিনই গাওয়াল শেখ ভাগীরথী নদী পার করে পালিয়ে যান কাটোয়ায়। সেখান থেকেই তাঁদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। শনিবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে এবং তাঁদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।
গত সোমবার বোমার আঘাতে নাবালিকা ছাত্রী (Nadia) তামান্না খাতুনের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কালীগঞ্জে। ঘটনার পরই পুলিশ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে (Nadia)। বাকি ১৫ জন এখনও অধরা। সকলেই শাসক দল তৃণমূলের কর্মী বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত তামান্নার পরিবারের (Nadia) ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। তামান্নার মা বারবার পুলিশের কাছে জানালেও, অভিযুক্তদের সবাই এখনও ধরা পড়েনি । তাঁর প্রশ্ন, “আমি তো সব নাম বলেছি, পুলিশকে একশোবার জানিয়েছি কারা ছিল। সবাইকে চিনি। তাও পুলিশ ধরছে না কেন?”
ঘটনার পর তৃণমূল বিধায়কের তরফে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হলে, তা নিতে অস্বীকার করেন তামান্নার মা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আমার মেয়েকে যারা মেরেছে, তারা সবাই তৃণমূলের। বিচার চাই, টাকা নয়।” এই প্রতিবাদ আরও একবার সামনে এনে দিল শাসক দলের বিরুদ্ধে জনরোষের চিত্র।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন নির্বিকার। তামান্নার মায়ের এই সাহসী অবস্থান একদিকে যেমন ন্যায়বিচারের দাবি তুলে ধরছে, তেমনই প্রশ্ন তুলছে—রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় কি আড়াল পাচ্ছে অপরাধীরা?