আমদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরও যেন নির্বিকার ছিল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) সহযোগী সংস্থা AISATS-এর একাংশ। দুর্ঘটনার ঠিক আটদিনের মাথায় ভাইরাল হয় একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও, যেখানে দেখা যায়—গুরুগ্রামের AISATS অফিসে ডিজের তালে উদ্দাম নাচে মত্ত একাধিক কর্মী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিক (Air India) । ঘটনাটি সামনে আসতেই দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যাত্রীদের পরিবারের শোকের সময়েও এমন উদযাপন মেনে নিতে পারেননি সাধারণ মানুষ (Air India) ।
ভিডিওতে যাঁরা নাচতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার (COO) আব্রাহাম জাকারিয়া, চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার, এবং বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার সম্প্রীত কোটিয়ান (Air India) । নাচ-গানের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই সংস্থার তরফে প্রকাশ করা হয় একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়—“এই ভিডিওটি প্রাসঙ্গিক নয়, তবে এর ফলে যাঁরা কষ্ট পেয়েছেন, তাঁদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।”
কিন্তু সংস্থার (Air India) এই বিবৃতি আরও ক্ষোভ উসকে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—“কীভাবে এমন নির্মম উদযাপন চলতে পারে যখন কোনও দুর্ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন? এটা কি শুধুই সংবেদনশীলতার অভাব, না কি পেশাদারিত্বের চূড়ান্ত অবক্ষয়?”

সার্বিক ক্ষোভ ও চাপের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) কর্তৃপক্ষ অবশেষে কড়া পদক্ষেপ নেয়। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় চারজন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে—যাঁদের মধ্যে রয়েছেন সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার ও দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, AISATS হল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি পার্টনার সংস্থা, যারা বিমানে খাবার ও অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করে।
দ্বিতীয় বিবৃতিতে সংস্থা জানায়—“এই আচরণ আমাদের নীতিবোধ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। মৃতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানাতে এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখতেই আমরা কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছি।”
তবুও প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—এই বরখাস্তই কি যথেষ্ট? না কি সংস্থার ভিতরে আরও বড় অবহেলার ছবিই ফুটে উঠছে এই ঘটনায়? এয়ার ইন্ডিয়ার মতো রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে উঠেছে নৈতিক প্রশ্নও।