কসবার (Kasba Case) একটি সরকারি ল কলেজে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল নির্যাতিত ছাত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে আসার পর। রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ওই তরুণীকে বলপূর্বক ধর্ষণ (Kasba Case) করা হয়েছে। তাঁর গলায় রয়েছে কামড়ের দাগ, শরীরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মারধরের চিহ্ন। এমনকি যৌনাঙ্গেও পাওয়া গিয়েছে গুরুতর আঘাতের প্রমাণ। চিকিৎসকরা একবাক্যে জানিয়েছেন—এটি একটি স্পষ্ট ‘ফোর্সফুল সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট’-এর ঘটনা (Kasba Case)।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুন রাতে। কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী তাঁর ক্লাস শেষ করে বেরোনোর আগেই হঠাৎ তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন একটি ওয়াশরুমে (Kasba Case)। সেখানেই প্রথম ধর্ষণের চেষ্টা করে মূল অভিযুক্ত, যিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী। ওই তরুণী কাঁদতে শুরু করলে, তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পরে কেবল একটি ইনহেলার এনে দেয়।

সাময়িকভাবে সুস্থ বোধ করলেও নির্যাতিতা যখন স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করেন, তখন তাঁকে জোর করে গার্ড রুমে নিয়ে যাওয়া হয় (Kasba Case)। সেখানেই চলে নির্মম ধর্ষণ। আশ্চর্যের বিষয়, বাকি দুই অভিযুক্ত সেইসময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ভয়ঙ্কর মুহূর্ত ভিডিওতেও তুলে রাখে তারা—ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা হয় v। সেখানকার চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, তাঁকে আটকে রেখে একজন ধর্ষণ করে, বাকি দু’জন পাহারায় ছিল।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল প্রশ্ন উঠছে—কলেজ চত্বরের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গায় কীভাবে এত ভয়ানক অপরাধ সংগঠিত হতে পারল? কারা কারা এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে যুক্ত? কলেজ কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ কি এর আগেও এমন ঘটনা আড়াল করেছেন?