Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাসন! এবার অ্যাব্রেগোকে কোন দেশে নির্বাসন দেবে ট্রাম্প ?
বিদেশ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাসন! এবার অ্যাব্রেগোকে কোন দেশে নির্বাসন দেবে ট্রাম্প ?

donald trump and deportion
Email :15

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন (Trump Admin) ফের আরেকবার অভিবাসী কিলমার অ্যাব্রেগোকে আমেরিকা থেকে বিতাড়িত করতে চলেছে। তবে এবার তাঁকে ফেরত পাঠানো হবে না এল সালভাদরে—যেখানে তাঁকে গত মার্চ মাসে ভুলবশত নির্বাসিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এক ফেডারেল বিচারকের সামনে এই তথ্য জানান ট্রাম্প প্রশাসনের একজন আইনজীবী।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন (Trump Admin) জানান, কিলমার অ্যাব্রেগোকে প্রথমে ফেডারেল আদালতে বিচার করা হবে অবৈধভাবে অভিবাসী পাচারের অভিযোগে, এবং পরে তাঁর নির্বাসনের বিষয়টি কার্যকর হবে। “তিনি যেসব অপরাধ করেছেন, তার জন্য আমেরিকান বিচারব্যবস্থার সম্পূর্ণ শাস্তি পেতে হবে—এর মধ্যে আমেরিকান জেলে সময় কাটানোও থাকবে,”—এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন জ্যাকসন।

অন্যদিকে, অ্যাব্রেগোর আইনজীবী শন হ্যাকার হোয়াইট হাউস (Trump Admin) ও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের বক্তব্যকে “বিরোধপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর” বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের মক্কেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার পক্ষের পক্ষ থেকেই স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা এখনো জানানো হয়নি।”

মারিল্যান্ডের একটি ফেডারেল আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের (Trump Admin) জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আইনজীবী জনাথন গুইন বলেন, “এই মুহূর্তে অ্যাব্রেগোকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই।” তবে তিনি জানান, ভবিষ্যতে অ্যাব্রেগোকে যদি নির্বাসিত করা হয়, তাহলে তাঁকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো হবে, এল সালভাদরে নয়। কোন দেশে পাঠানো হবে, তা তিনি জানাননি।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৯ সালের এক আদালতের রায়ে অ্যাব্রেগোকে এল সালভাদরে ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কারণ সেখানে তিনি নিপীড়নের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা ছিল। তবুও মার্চ ২০২৫-এ তাঁকে সেখানে পাঠানো হয় এবং বন্দি করা হয় (Trump Admin)।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন (Trump Admin) তাঁকে আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে এনে মানবপাচারের অভিযোগে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে। ২৯ বছর বয়সী অ্যাব্রেগো মেরিল্যান্ডে তাঁর মার্কিন নাগরিক স্ত্রী এবং ছোট সন্তানের সঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

এই মামলাটি ইতোমধ্যে ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। মামলার বিচারক অচিরেই তাঁকে জামিনে মুক্ত করার কথা বললেও, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে অভিবাসন হেফাজতে নেওয়া হবে।

অ্যাব্রেগোর আইনজীবীরা চেয়েছেন, বিচার চলাকালীন তাঁকে মেরিল্যান্ডেই রাখা হোক এবং কোনোভাবেই যেন তাঁকে আবার নির্বাসিত না করা হয়—এই নিশ্চয়তা দিক মার্কিন বিচার ও অভিবাসন বিভাগ।

মারিল্যান্ড এবং টেনেসি—দুই অঙ্গরাজ্যের দুটি পৃথক ফেডারেল আদালতে এখনো এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় আসেনি। ন্যাশভিলের প্রধান ফেডারেল প্রসিকিউটর রবার্ট ম্যাকগুয়ার বিচারককে জানিয়েছেন, তিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সঙ্গে সমন্বয় করবেন, কিন্তু অ্যাব্রেগোকে কোথায় রাখা হবে বা তাঁকে আদৌ ফেরত পাঠানো হবে কি না—সে সিদ্ধান্ত তাঁর হাতে নেই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts