শহরে ফের নারকীয় ঘটনা। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে কসবার (Kasba Case) এক আইন কলেজ। অভিযোগ, সেই কলেজেই এক আইনের ছাত্রীকে কলেজ চত্বরে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কলেজেরই (Kasba Case) প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করা এক যুবক, যিনি স্থানীয়ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) নেতা বলেই পরিচিত। অভিযুক্তের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছবিও সামনে এসেছে, যা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।
এই পরিস্থিতিতে (Kasba Case) মুখ খুললেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, অভিযুক্ত যুবক কোনও সাংগঠনিক পদে ছিলেন না। তাঁর কথায়, “জেলা সভাপতি যে কমিটি করেছিলেন, সেই কমিটিতে এই ছেলেটার নাম ছিল না। আমরা সবসময় নেতৃত্ব নির্বাচনে সাংগঠনিক দক্ষতা, কাজের অগ্রগতি, ভাল কাজের বিচার করি। কেউ যদি কারও ফলোয়ার হয় বা ছবি তোলে, তার দায় তো সংগঠনের নয়।”
তৃণাঙ্কুর আরও বলেন (Kasba Case) , “আমি কাউকে দল করতে বলি না বা নিষেধও করি না। দল করার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু নেতার আসনে তাকেই বসানো হবে, যে দলের আদর্শ বুকে নিয়ে চলবে।” যদিও বাস্তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কলেজের ছাত্র পরিষদে দাপুটে ভূমিকা রাখতেন। কলেজের ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব ছিল। কলেজ চত্বরেই এই অপরাধ সংগঠিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ছাত্র রাজনীতি এবং প্রশাসনিক গাফিলতি— দুই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে ওই আইন কলেজেই ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিত তরুণী বুধবার কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই পুলিশ তদন্তে নামে। তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে তালবাগান ক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই ধরা পড়ে তৃতীয় অভিযুক্তও।
এই ঘটনা (Kasba Case) প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। যদিও রাজ্যের শাসকদল এবং ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব দাবি করছে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই তারা নিজেরাই। কিন্তু ততক্ষণে বিতর্ক আরও জটিল রূপ নিয়েছে। কলেজে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, এবং রাজনৈতিক প্রভাব— সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে।