Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ‘চামড়া তুলে নেওয়া উচিত!’— ধর্ষণ কাণ্ডে কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক মন্তব্য ভাইরাল!
রাজ্য

‘চামড়া তুলে নেওয়া উচিত!’— ধর্ষণ কাণ্ডে কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক মন্তব্য ভাইরাল!

rape
Email :28

দক্ষিণ কলকাতার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের (Physical Abuse) ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। তিন জন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ‘এম’-এর পরিচয় সামনে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা, কলেজের প্রাক্তনী এবং অস্থায়ী কর্মী হিসেবেও কাজ করছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের যোগ এবং প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক বিরোধী সংগঠন (Physical Abuse) ।

এই ঘটনাকে (Physical Abuse) কেন্দ্র করে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে এসএফআই এবং বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে অভিযোগ করেছেন, সাউথ কলকাতা ল’ কলেজে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন অপরাধচক্র চালিয়ে আসছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নেই — আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ-খুনের (Physical Abuse) ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে আগেও ২০-৩০টি দুর্নীতির অভিযোগ, শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের (Physical Abuse) হুমকির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে এবিভিপি দাবি করেছে, মূল অভিযুক্ত দক্ষিণ কলকাতা টিএমসিপি-র সম্পাদক ছিল এবং বাকি ধৃতদের সঙ্গেও শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি, ভোট লুঠের সঙ্গেও অভিযুক্তদের নাম জড়িত বলে দাবি করেছেন এবিভিপি-র এক নেতা।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং যুব সংগঠনের সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তদের কেউই বর্তমানে ছাত্র পরিষদের পদে নেই (Physical Abuse) । তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, অভিযুক্ত বর্তমানে কলেজের অস্থায়ী কর্মী, ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেছেন তিনি।

kunal ghosh
ফাইল ছবি

এই ঘটনায় শুক্রবার কসবা পোস্ট অফিসের সামনে ডিএসও-র জমায়েত এবং বিকেলে কসবা থানার সামনে অভয়া মঞ্চের বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজ্যের নারীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর শাসনকালে রাজ্যের নারীরা আর সুরক্ষিত নন। পুলিশ প্রশাসন রথযাত্রা নিয়েই ব্যস্ত, অথচ নিরাপত্তা নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

পাশাপাশি কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার অভিযোগ করেছেন, শাসকদলের নেতারা প্রকাশ্যে পুলিশকে হুমকি দিলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না, ফলে এই ধরনের অপরাধ ঘটছে। পুলিশের শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, এই ধরনের পশুদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া উচিত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। তবে বিরোধীদের সমালোচনাও করেন কুণাল, বলেন অতীতে বাম শাসনকালেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যেও ঘটে।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধর্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তার মতে, শুধুমাত্র আইন দিয়ে কিছু হবে না— সমাজে মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।

ঘটনাটি রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছে। নারী নিরাপত্তা, ক্যাম্পাসে অপরাধচক্র এবং রাজনৈতিক প্রভাব— সবই এখন প্রশ্নের মুখে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts