হারিয়ানার ফরিদাবাদে নৃশংসভাবে খুন (Murder) হওয়া ২৪ বছর বয়সি তনু রাজপুতকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল—এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে। মাটির নিচে চাপা দেওয়া তনুর দেহ (Murder) উদ্ধারের পর একে একে সামনে আসছে নারকীয় ঘটনার বিস্তারিত।
তদন্তে জানা গেছে, তনুর শ্বশুর ভূপ সিং তাকে ধর্ষণ করার পর খুন (Murder) করেন। শুধু তাই নয়, এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে তনুর শাশুড়িও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও পলাতক রয়েছে তনুর স্বামী অরুণ সিং (Murder) । তাকে খুঁজতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রধান অভিযুক্ত ভূপ সিংকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ফরিদাবাদ পুলিশের অপরাধ দমন শাখা (Murder) । জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে, হত্যার পরিকল্পনা আগে থেকেই করা হয়েছিল। তদন্তকারী এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ১৫ এপ্রিলই এই পরিকল্পনা হয় এবং তাতে অরুণ ও তার মা সোনিয়াও জড়িত ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন তনুর শাশুড়ি ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলায় নিজের ভাইঝির বিয়েতে যান, যাতে পরিকল্পনা সহজে বাস্তবায়ন করা যায় (Murder) । এরপর ২১ এপ্রিল রাতে, অরুণ খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় তার স্ত্রী তনু এবং বোন কাজলকে। ঘুমের ওষুধ খেয়ে দুইজনই নিজেদের ঘরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
ওই রাতে ভূপ সিং একা তনুর ঘরে প্রবেশ করে। তার পরিকল্পনা ছিল, চুপিসারে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তনুকে খুন করা (Murder) । তবে খুন করার আগে, তনু অচেতন অবস্থায় থাকাকালীন তিনি তাকে ধর্ষণ করেন। এই নারকীয় ঘটনার কথা স্ত্রী ও ছেলেকে জানাননি বলেও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ভূপ সিং।

এরপর কিছুক্ষণ পর ভূপ সিং ছেলেকে ডেকে পাঠায় ঘরে। বাবা-ছেলে মিলে মৃতদেহটি বাড়ির সামনের রাস্তার ধারে একটি আগেই খোঁড়া গর্তে ফেলে দেয় এবং ওপর থেকে ইট ও মাটি চাপা দেয়। প্রতিবেশীদের জানানো হয়, এটি নাকি পয়ঃপ্রণালীর জন্য খোঁড়া হয়েছে।
দুই মাস ধরে মেয়েটির নিখোঁজ ডায়েরি করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পরিবারটি। কিন্তু অবশেষে পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার হয়।
পল্লা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে—ভূপ সিং, তার স্ত্রী সোনিয়া, ছেলে অরুণ সিং এবং মেয়ে কাজলের বিরুদ্ধে। মৃত তনু উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের শিকোহাবাদের বাসিন্দা। তিনি দুই বছর আগে অরুণ সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন এবং রোশন নগরে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন।