Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • ভাইরাল
  • রথযাত্রায় ভয়াবহ আতঙ্ক! রাস্তায় দৌড় শুরু করল হাতি, দিশেহারা ভক্তদের প্রাণের ছুট! ভিডিও ভাইরাল!
দেশ

রথযাত্রায় ভয়াবহ আতঙ্ক! রাস্তায় দৌড় শুরু করল হাতি, দিশেহারা ভক্তদের প্রাণের ছুট! ভিডিও ভাইরাল!

ratha yatra
Email :12

আহমেদাবাদের ১৪৮তম জগন্নাথ রথযাত্রায় (Ratha Yatra) হঠাৎ করেই তৈরি হল চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া এই ঐতিহ্যবাহী যাত্রায় শামিল একদল হাতি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা রুটজুড়ে (Ratha Yatra)। বিশাল হাতিগুলোর হঠাৎ ছুটে চলায় হাজার হাজার ভক্ত ও সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েন। অনেকেই জীবন বাঁচাতে দৌড়ে আশ্রয় খুঁজতে থাকেন।

পিটিআই সংস্থার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রথযাত্রার (Ratha Yatra) সময় হাতিগুলিকে সামাল দিতে প্রাণপণে চেষ্টা করছেন মাহুতরা। কিন্তু হঠাৎ এক হাতি ভিড়ের দিকে ছুটে গেলে আতঙ্কিত মানুষ সরু গলিপথ ও ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে থাকেন (Ratha Yatra)। ক’জন আহত হয়েছেন, সে বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।

প্রাচীন জামালপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে শুক্রবার সকালে শুরু হয় এই বিশাল রথযাত্রা (Ratha Yatra)। কালসী সম্প্রদায়ের সদস্যরা ঐতিহ্য মেনে টানেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথ। প্রায় ১৬ কিমি পথ ঘুরে আবার সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ রথ মন্দিরে ফিরবে বলে জানানো হয়েছে।

এই বছরের যাত্রায় অংশ নিয়েছে ১৮টি হাতি, ১০০টি সুসজ্জিত ট্রাক, ৩০টি আখড়া ও অসংখ্য ভজন দল। প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ ভক্ত রাস্তায় জড়ো হয়েছেন এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব দেখতে। পূজা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর পরিবার। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ‘পহিন্ড বিধি’ পালন করেন—স্বর্ণঝাঁটা দিয়ে রথের পথ পরিস্কার করার এই আচার বহু পুরনো।

digha jagannath
জগন্নাথ, শুভদ্রা ও বলরাম

এই বিশাল জনসমাবেশের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ২৩,৮০০ জনের বেশি নিরাপত্তা বাহিনী। এদের মধ্যে ৪,৫০০ পুলিশকর্মী রথের সঙ্গে হেঁটে চলেছেন, এবং ২,০০০ জন নিয়োজিত আছেন ট্রাফিক সামলাতে। প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে AI-ভিত্তিক নজরদারি প্রযুক্তি, যা ভিড় বা অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা চিহ্নিত করে তৎক্ষণাৎ কন্ট্রোল রুমে সতর্কবার্তা পাঠাবে।

ড্রোন, বডি-ক্যাম, ওয়াচ টাওয়ার, ও স্থায়ী ক্যামেরা মিলিয়ে নজর রাখা হচ্ছে পুরো রুটজুড়ে। আগে থেকেই নানা শান্তি কমিটি, মহিলা দল, মহল্লা সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎসবের আগে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার পরিকল্পনা নেয় প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts