পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় এক নৃশংস খুনের ঘটনার খোঁজ মিলল, যা রীতিমতো চমকে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে তদন্তকারী পুলিশকর্তাদেরও (Murder)। মীরাটে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি উসকে দিয়ে, এবার লুধিয়ানার একটি বাড়ির পাশ থেকে একটি নীল রঙের ড্রামের ভিতরে পচাগলা দেহ (Murder) উদ্ধার করল পুলিশ।
দেহটি ছিল প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়া এবং গলায় ও পায়ে শক্ত করে দড়ি বাঁধা ছিল। যা দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়—বরং এক পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড(Murder)। মৃতদেহটি এতটাই পচে গিয়েছিল যে তার পরিচয় এখনও নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, যখন আশপাশের এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। স্থানীয়রা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পেরে সন্দেহে পড়ে যান। পরে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই নীল ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় দেহটি (Murder)।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, যে ড্রামে দেহটি রাখা হয়েছিল সেটি একেবারেই নতুন এবং অল্পদিন আগেই কেনা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যার জেরে আরও জোরদার হয়েছে পরিকল্পিত খুনের সন্দেহ।
লুধিয়ানার স্টেশন হাউস অফিসার কুলবন্ত কৌর জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তি কোনো পরিযায়ী শ্রমিক হতে পারেন। আশপাশের এলাকায় বহু পরিযায়ী বসবাস করেন এবং তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে লুধিয়ানার সিভিল হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও সময় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। শহরের রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড এবং আশপাশের সড়কে থাকা নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্তকারীরা এমন কিছু গাড়ির নম্বরও খতিয়ে দেখছেন যেগুলির চলাফেরায় সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, লুধিয়ানার অন্তত ৪২টি ড্রাম উৎপাদনকারী সংস্থার তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সন্দেহ, খুনের আগে সেই নতুন ড্রামটি সেখান থেকেই কেনা হয়েছিল।
এখন পুলিশ জোর তল্লাশি চালাচ্ছে দেহটির পরিচয় উদঘাটনে ও এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে।