আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কলকাতার শিক্ষাঙ্গনে (Kasba) এক ভয়ঙ্কর নির্যাতনের অভিযোগ উঠে এল। এবার দক্ষিণ কলকাতার কসবার (Kasba) একটি নামী আইন কলেজে ঘটে গেল গণধর্ষণের লোমহর্ষক কাণ্ড। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে গোটা শহরে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় (Kasba) । অভিযোগ, সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১০টা ৫০-এর মধ্যে কলেজ চত্বরেই ধর্ষণ করা হয় এক ছাত্রীকে। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা কসবা (Kasba) থানায় গিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তৎপর হয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে দুই জন ওই কলেজের কর্মী ও একজন প্রাক্তন পড়ুয়া।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে (Kasba) , ২০২২ সালে ওই অভিযুক্ত ছাত্র কলেজ থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন। কিন্তু তারপরও কীভাবে কলেজে তার অবাধ যাতায়াত ছিল, তা নিয়েই উঠছে বড় প্রশ্ন। অভিযোগ, কলেজ চত্বরে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মূল অভিযুক্ত। আর বাকি দু’জন তাঁকে সহায়তা করে।

নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক মেডিক্যাল রিপোর্টের পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার জেরে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নারী নিরাপত্তা নিয়ে আবারও বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। আরজি কর কাণ্ডের পরেই রাজ্য সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কসবার কলেজে এমন এক ভয়াবহ ঘটনায় কার্যত সেই দাবি খারিজ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে অনেকেই।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যেও আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠছে, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অপরাধীদের অবাধ যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে বলেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।