Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • বদলে গেল হাসপাতাল, বেড়ে গেল বিল—অর্ধেক কাজ, তিন গুণ খরচ! তদন্তে জড়ালেন AAP নেতারা!
দেশ

বদলে গেল হাসপাতাল, বেড়ে গেল বিল—অর্ধেক কাজ, তিন গুণ খরচ! তদন্তে জড়ালেন AAP নেতারা!

delhi former health ministers
Email :16

দিল্লি (Delhi)পুলিশের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ (ACB) প্রাক্তন দিল্লি স্বাস্থ্য মন্ত্রী সौरভ ভারতদ্বাজ ও সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীতে হাসপাতাল প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক দেরি ও খরচবৃদ্ধির পেছনে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির যোগসূত্র রয়েছে। শীঘ্রই এই দুই আম আদমি পার্টি (AAP) নেতাকে তলব করতে পারে ACB।

এই তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Delhi), যা ৬ মে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বিজেপি নেতা বিজেন্দ্র গুপ্তর গত বছরের করা এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে (Delhi) মোট ২৪টি হাসপাতাল প্রকল্পের (১১টি নতুন এবং ১৩টি পুনর্গঠনের) জন্য ৫,৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু আজও এই প্রকল্পগুলির অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর, এবং খরচ একাধিক গুণ বেড়ে গেছে, যা প্রাথমিকভাবে বিশাল দুর্নীতির (Delhi) ইঙ্গিত দেয়।

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের মধ্যে ৬,৮০০ বেডের ক্ষমতাসম্পন্ন ৭টি আইসিইউ হাসপাতাল তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল, যার জন্য ১,১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। তিন বছর কেটে গেলেও এই প্রকল্পগুলির অগ্রগতি মাত্র ৫০ শতাংশ, অথচ ইতিমধ্যেই খরচ হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা।

LNJP হাসপাতালের নতুন ব্লকের প্রকল্প ৪৬৫.৫২ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু হলেও বর্তমানে তার খরচ বেড়ে হয়েছে ১,১২৫ কোটি টাকা, যা চার বছরের মধ্যে তিন গুণ বৃদ্ধি।

ACB-র প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, প্রতিটি প্রকল্পে খরচ কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করা হয়েছে, সস্তা সমাধান বাতিল করে ব্যয়বহুল পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে এবং বহু সম্পদ অকেজো অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। এসবই দুর্নীতির লক্ষণ এবং এর ফলে সরকারের বিরাট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

এই প্রেক্ষিতে, ACB তদন্তের জন্য ‘প্রিভেনশন অফ করাপশন অ্যাক্ট’-এর ১৭A ধারায় অনুমতি চায়, যা পরে স্বাস্থ্য দফতর এবং PWD-র কাছে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য দফতর জানায়, তদন্তে তাদের কোনও আপত্তি নেই। PWD-ও তদন্তে সম্মতি জানিয়ে দুর্নীতির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেয়।

ভিজিল্যান্স দফতর তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রকল্পের অনুমান তৈরি ও পরিকল্পনার সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি, যার ফলে অনুমোদিত বরাদ্দের তুলনায় ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।

তবে AAP অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই তদন্ত একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। তারা দাবি করেছে, বিজেপি ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর সাধারণ প্রকল্প দেরিকে দুর্নীতির অস্ত্রে পরিণত করে সরকার পরিচালনাকে ‘হাস্যকর’ করে তুলেছে।

স্বরভ ভারতদ্বাজ বলেন, “হাসপাতালের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে ২০১৭-১৮ এবং ২০২১ সালে। আমি ২০২৩-এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হই। এরপর কোনও প্রকল্পের খরচ বা সংশোধিত অনুমোদনের ফাইল আমার কাছে আসেনি। তবু আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হাস্যকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা বিজেপি ও এলজি-র হতাশার বহিঃপ্রকাশ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts