Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • রাজ্যের কর্মীদের স্বপ্নভঙ্গ! কেন্দ্রের মতো ডিএ চাওয়ার অধিকার নেই?
রাজ্য

রাজ্যের কর্মীদের স্বপ্নভঙ্গ! কেন্দ্রের মতো ডিএ চাওয়ার অধিকার নেই?

rajasthan
Email :16

রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA Case) (মহার্ঘ ভাতা) নিয়ে বড় আপডেট সামনে এল। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে গঠিত ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে (DA Case) স্পষ্ট জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার চাইলে তার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ডিএ দিতে পারে। কেন্দ্রের হারে ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলেই কমিশনের সুপারিশ।

অনেকদিন ধরেই রাজ্যে বকেয়া ডিএ (DA Case) নিয়ে ক্ষোভ ছিল। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে সেই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে ষষ্ঠ পে কমিশনের এই রিপোর্টের সঙ্গে সেই বকেয়া ডিএর (DA Case) কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যেটুকু ডিএ বকেয়া রয়েছে, তা ছিল পঞ্চম পে কমিশনের আওতায়। আর এই রিপোর্ট ষষ্ঠ পে কমিশনের, যা ২০১৫ সালেই তৈরি হয়েছিল।

২০১৫ সালের রিপোর্টেই বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নিয়ম না মেনে নিজস্ব নিয়মে ডিএ (DA Case) দিতে পারে। তবে সেই সময় রিপোর্টটি কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ১ জুলাইয়ের মধ্যে এই রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। সেই নির্দেশ মান্য করেই এবার ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট জনসমক্ষে আনা হল।

এই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, সরকারি কর্মীরা তাদের নিজ নিজ গ্রেড অনুযায়ী কত টাকা পাবেন। একইসঙ্গে পুনরায় স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সর্বভারতীয় ভোক্তা মূল্য সূচক (All India Consumer Price Index) অনুসারে ডিএ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। অর্থাৎ, রাজ্য সরকার চাইলে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দিয়ে তার নিজস্ব আর্থিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ডিএ দিতে পারে।

এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। সংগঠনের প্রতিনিধি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কমিশন বলছে, রাজ্যের যখন টাকা থাকবে, তখন ডিএ দেবে। কেন্দ্রের হারে দিতে হবে না। অথচ যিনি এই কথা বলছেন, তিনি নিজে একসময় কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেয়েছেন, এখনও কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী ডিএ পান। আজ তিন বছর ধরে কমিশনের চেয়ারম্যান হয়ে, রাজ্য সরকারকে রক্ষা করতে এই সুপারিশ দিচ্ছেন। আমরা ওঁর এই অবস্থানকে ধিক্কার জানাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts